দিনাজপুরে চোর সন্দেহে রবিদাস (২৬) নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে আবদুল করিম (৪০) নামের এক দোকানির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন ওই দোকানদার। পরে রবিদাসের স্ত্রী সুমি রানী দাস বাদী হয়ে দোকানির বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ রবিদাস ও আবদুল করিমকে আটক করেছে।
গতকাল রোববার দুপুরে আবদুল করিম এবং বিকেলে রবিদাসের স্ত্রী মামলা করেন।
আবদুল করিমের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শহরের সংগীত কলেজসংলগ্ন করিম অ্যালুমিনিয়ামের স্বত্বাধিকারী তিনি। গতকাল সকাল ৯টার দিকে শহরের সংগীত কলেজসংলগ্ন দোকান খুলে দেখেন, দোকানের মালামাল চুরি হয়েছে। দোকানের ঘরের ছাদে চিলেকোঠার দরজা ভাঙা দেখতে পান তিনি। এ সময় সিঁড়িতে রবিদাসকে দেখতে পেয়ে করিম চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এসে তাঁকে (রবিদাস) আটকান। পরে তাঁরা তাঁকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন। মারধর করার বিষয়টি কোতোয়ালি থানা–পুলিশকে জানালে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
বিকেলে রবিদাসের স্ত্রী বাদী হয়ে দোকানদার আবদুল করিম ও অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনের নামে মামলা করেন। মামলার এজাহারে বাদী বলেন, তাঁর স্বামী সকালে কাজের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় সংগীত কলেজের সামনে আবদুল করিম ও তাঁর লোকজন রবিদাসকে বেঁধে মারধর করেন।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, চোর সন্দেহে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হচ্ছে, এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বিকেলে আটক রবিদাসের স্ত্রী দোকানদারের বিরুদ্ধে মামলা করলে পুলিশ দোকানদারকে আটক করে সন্ধ্যায় জেলহাজতে পাঠিয়েছে। তদন্ত শেষে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।