দিনাজপুর শহরের ষষ্ঠীতলা মোড়। স্থানীয়ভাবে পরিচিত শ্রমের বাজার হিসেবে। সেখানে কাজের অপেক্ষায় বসে আছেন কয়েকজন শ্রমজীবী মানুষ। গত শনিবার সকালে
দিনাজপুর শহরের ষষ্ঠীতলা মোড়। স্থানীয়ভাবে পরিচিত শ্রমের বাজার হিসেবে। সেখানে কাজের অপেক্ষায় বসে আছেন কয়েকজন শ্রমজীবী মানুষ। গত শনিবার সকালে

দারিদ্র্য বাড়ছে, বরাদ্দ বাড়ছে না

‘চাল-লিচুতে ভরপুর, জেলার নাম দিনাজপুর’ স্লোগানটি বানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ জেলা দেশের চালের চাহিদার একটা বড় অংশ মেটায়। এর খ্যাতি আছে ‘লিচুর রাজধানী’ হিসেবে। শাকসবজিও ফলে ভালো। অথচ এটা কিন্তু দেশের দ্বিতীয় গরিব জেলা।

দিনাজপুরের গৌরব ও সাফল্যগাথার উল্টো পিঠেই আছে এই নিষ্ঠুর সত্য। ২০১০ সালে এ জেলার ৩৭ শতাংশ মানুষ দরিদ্র ছিল। শেষ হিসাবে ২০১৬ সালে এক লাফে এ হার ৬৪ শতাংশে পৌঁছায়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পাঁচ থেকে ছয় বছর পরপর খানা, অর্থাৎ এক পাকে খাওয়া সংসারের আয় ও ব্যয় নির্ধারণের জরিপ করে। এ হিসাব সেই জরিপের।

কুড়িগ্রাম দেশের ১ নম্বর গরিব জেলা। সেখানকার ৭১ শতাংশ মানুষ গরিব। দারিদ্র্য সেখানেও বেড়েছে, তবে মাত্রাছাড়া বেশি বেড়েছে দিনাজপুরে।

জেলায় দারিদ্র্য বাড়ার খবর জানেন না বিরল উপজেলার রানীপুর গ্রামের কৃষক মোকছেদুর রহমান। তবে তিনি বললেন, তাঁর চার সদস্যের সংসারে অভাব বেড়েছে। গত দুই বছর আমনে লাভ আর বোরোতে ক্ষতি হয়েছে। সামাল দিতে রাজমিস্ত্রির কাজ ধরেছেন।

মোকছেদুর স্থানীয় হিসাবে দেড় বিঘা, অর্থাৎ ৭০ শতক জমিতে ধান চাষ করেন। এবার বোরোতে কিছুটা দাম পেয়েছেন। কিন্তু আগের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠেনি। গত ৩০ আগস্ট বাড়ির উঠানে বসে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘ধান লাগাই, খ্যায়াদ্যায়া দিন চলি যাউছে, কিছু করার পারি নাই।’

বিবিএসের ২০১৬ সালের জরিপটি বলছে, দেশে সবচেয়ে গরিব ১০ জেলার ৫টিই রংপুর বিভাগে। দেশের মোট উৎপাদন আর মাথাপিছু আয় বেড়েছে। কিন্তু আয়, সুযোগ-সুবিধা আর সরকারের সুনজরের বৈষম্যও বেড়েছে। সেটাই উত্তরের এ অঞ্চলে দারিদ্র্য বাড়িয়েছে।

দিনাজপুরে আয়-রোজগারের মূল ভরসা কৃষি। গত কয়েক দিনে জেলা ঘুরে অনেক মানুষের সঙ্গে কথা হলো। সবাই আবাদের খরচ বাড়া আর কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার কথা বললেন। বললেন, ভূমিহীন কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে।

জেলায় অন্য কাজের সুযোগ কম। বড় শিল্পকারখানা প্রায় নেই। সরকারি বরাদ্দ তুলনামূলকভাবে কম আসে। করোনাকালে সংকট যেমন বেড়েছে, তেমনি সব রকম বৈষম্যের বিষয়টিও প্রকট হয়েছে।

ধান ও দারিদ্র্য

বিরল উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন প্রায় এক একর জমিতে ধান আবাদ করেন। গত বোরো মৌসুমে ৭০-৭২ মণ ধান উঠেছে। কিছু বিক্রি করেছেন। দর হিসেবে খোরাকিসহ ৪৪ হাজার টাকার মতো আয়। খরচ বাদ দিলে লাভের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪ হাজার টাকা।

জমির পরিমাণ আর আয়-ব্যয় একই, তবু আলমগীরের সঙ্গে তাঁর প্রতিবেশী মাহতাব আলীর হিসাবের আকাশ-পাতাল ফারাক। মাহতাব ভূমিহীন। তিনি অন্যের জমি ভাড়া বা লিজ নিয়ে আবাদ করেছিলেন। ৪-৫ মাসের মৌসুমের ভাড়া গুনেছেন ১৩ হাজার টাকা। লাভ টিকল ১ হাজার টাকার মতো।

এবার বোরোর দাম ভালো পেয়েও এই অবস্থা। মাহতাব এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আবাদি জমি নাই। ধান চাষ করি। নিশা হই গেইছে। তামান লোকসান হইলেও ছাড়ির পারি না। গরু-ছাগল পুষিয়া কোনোমতন দিন চলি যাউছে।’

কথা বলতে বলতে চারপাশে কৃষকের ভিড় জমে। তাঁরা বলেন, এলাকার ফসলি জমির মালিকেরা নিজেরা চাষ করেন না। ভূমিহীন ও ছোট কৃষকেরা তাঁদের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করতেন। তবে ইদানীং ভাড়া-চুক্তির চল বেড়েছে। ভাড়ার টাকা আগাম দিতে হয়।

মাহতাবের মতো কৃষক পরিবার কত আছে? কৃষি বিভাগের গণনায় জেলায় ভূমিহীন কৃষক পরিবার আছে ১ লাখ ৩০ হাজারের মতো। প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক পরিবার চার লাখের কাছাকাছি। আর মাঝারি ও বড় কৃষক আছেন দেড় লাখের কাছাকাছি।

পাঁচ শতাংশ থেকে আধা একর জমির মালিকেরা প্রান্তিক কৃষক।। আড়াই একর পর্যন্ত জমির মালিকেরা ক্ষুদ্র কৃষক। মহাদেবপুর গ্রামেই হরেশ রায় ও দুলাল রায়ের সঙ্গে দেখা। হরেশ প্রায় চার একর জমি আবাদ করেন। তিনি মাঝারি কৃষক।

দুলালের আবাদি জমির পরিমাণ পৌনে ছয় একর। তিনি বড় কৃষক। হরেশ বললেন, বোরো মৌসুমে ৫৪ হাজার টাকা লাভ করেছেন। জমি বাড়লে লাভ বাড়ে।

জেলার অর্থনীতি ধাননির্ভর। সেই ধানের ন্যায্যমূল্য বেশির ভাগ সময় পান না কৃষকেরা। উল্টো বেড়েছে সব রকম আবাদের উৎপাদন খরচ। অন্তত ৮০ ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাদের আয় কমছেই।

জেলা কৃষি বিভাগ অবশ্য মানতে রাজি নয় যে কৃষি খাতে আয় কমায় দারিদ্র্য বেড়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক তৌহিদ ইকবাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, বিবিএসের তথ্যে কোথাও ভুল আছে।’

তৌহিদ বলেন, এ জেলায় ১৬ লাখ টন চাল উৎপাদিত হয়। তার অর্ধেকই উদ্বৃত্ত থাকে। কাজেই কৃষি খাতে দারিদ্র্য বাড়তে পারে না। তবে ভূমিহীন, প্রান্তিক ও ছোট কৃষকেরা সংকটে আছেন।

জেলায় বেশির ভাগই কিন্তু তেমন কৃষক। সদর উপজেলার ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামের মোজাম্মেল হক ৫২ হাজার টাকায় এক বছরের জন্য প্রায় সোয়া এক একর জমি ভাড়া নিয়েছেন। তাতে আলু, ভুট্টা ও শিম চাষ করেছিলেন। অর্ধেক জমির ভুট্টাখেত ঘূর্ণিঝড় আম্পানে নষ্ট হয়েছে।

রবি ফসলি জমির ভাড়া বেশি। মোজাম্মেলকে জমিভাড়ার টাকা আগাম দিতে হয়েছিল। বিরলে জমির মালিক শিশির শাহ বলেছিলেন, ফসল ঘরে ওঠার পর কৃষক টাকা দিতে টালবাহানা করেন। জমির মালিকেরা তাই আগাম নেন।

চিরিরবন্দর, কাহারোল আর বীরগঞ্জ উপজেলার কয়েকজন কৃষকই কিন্তু বলেছেন, বন্যা, ঝড়, বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হলে খরচটাও ওঠে না। জমির ভাড়া দিতে পারেন না। মালিকেরা আগাম টাকা ছাড়া জমি দেন না। চাপাচাপি করে ভাড়া বাড়ান।

বদিউজ্জামান জেলায় বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, জমির মালিকেরা নিজেরা চাষাবাদ করেন না। চড়া ভাড়ায় ভূমিহীন ও ক্ষুদ্র চাষিদের জমি দিয়ে তাঁরা মহাজন হয়েছেন। কৃষকের আয়ের বেশির ভাগ চলে যাচ্ছে জমির ভাড়া আর অন্যান্য খরচ মেটাতে।

তারপরও করোনাকালে হতাশার মধ্যে কৃষিতেই আশা খুঁজছেন কৃষক। চিরিরবন্দর, কাহারোল, বিরল আর সদর উপজেলায় বিস্তীর্ণ মাঠে আমন ধানের কচি চারা লকলকিয়ে উঠছে। সবুজ খেতে কৃষকেরা কাজে ব্যস্ত। দেখে চোখ জুড়ায়।

চিরিরবন্দরের জগন্নাথপুর গ্রামের ইলিয়াস আলী করোনাকালের ধাক্কা সামলাতে আমনে ভালো দাম পাওয়ার আশায় বুক বেঁধে আছেন। এ প্রতিবেদককে তিনি বললেন, ‘আবহাওয়া যদি ঠিক থাকে, বোরোর মতো যদি আমনোতও দাম পাই, তাইলে চলতে পারমো।’

কাজের সংকট

দিনাজপুর শহরের ষষ্ঠীতলা মোড়ে রোজ সকালে কাজের খোঁজে দূরদূরান্ত থেকে জড়ো হন বহু নারী-পুরুষ। তাঁরা রাজমিস্ত্রি, টাইলসমিস্ত্রি, ঢালাইমিস্ত্রি, রংমিস্ত্রি, দিনমজুর বা কৃষিশ্রমিক।

গত ২৫ আগস্ট বিরল উপজেলার ভরতপুর গ্রাম থেকে সাত কিলোমিটার পথ সাইকেল চালিয়ে এসেছিলেন কৃষিশ্রমিক সোহরাব আলী। বললেন, করোনাভাইরাসের কারণে কাজ পাওয়া কঠিন। জুলাইয়ে ১৫ দিন কাজ পেয়েছেন। দৈনিক মজুরি ছিল গড়ে ৪০০ টাকা। তাঁর পরিবারে ছয়জন সদস্য।

আছে এনজিও থেকে নেওয়া ক্ষুদ্রঋণের কিস্তির চাপ। সোহরাব আলী বলেন, ‘আয়-রোজগার কমি গেইছে। একটা গাই গরু আছিলো, সউগ ব্যাচে দিনো।’

সবুজ আহমেদের বাসা থেকে ষষ্ঠীতলা মোড়টা দেখা যায়। তিনি বলছেন, প্রতিদিন সকালজুড়ে ভ্যানে, সাইকেলে ষষ্ঠীতলার মোড়ে হাজারের বেশি শ্রমিক আসেন। ইদানীং তাঁদের অর্ধেকই কাজ না পেয়ে ফিরে যান।

আবদুল জলিল জেলা সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি। বললেন, এখানে প্রাতিষ্ঠানিক খাতের কাজ কম। আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের হিসাবে জেলার পাঁচ শতাধিক স্বয়ংক্রিয় চালকলে ১৫ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। ২৭২টি ইটভাটায় মৌসুমি কাজ জোটে ৯-১০ হাজার শ্রমিকের।

গত ২০ আগস্ট বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) সদর উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নে একটি অঞ্চলের অনুমোদন দিয়েছে। এটা হবে ৩০০ একর জমিতে। এখানে অন্তত ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে।

জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ৮৭ একর খাসজমি বেজার কাছে দিয়েছেন। জমি অধিগ্রহণ নিয়ে আলোচনা চলছে। জেলায় কুটিরশিল্প নগরী আর দুটি পাটকল আছে। তবে অর্থনৈতিক অঞ্চল পুরো বিভাগেই এই প্রথম।

বৈষম্য ও কম বরাদ্দ

জেলা শহরের চা-দোকানদার শহীদুল ইসলাম উন্নয়নবৈষম্য বোঝেন না। তাঁর কথায়, দিনাজপুরের প্রতি সরকারের নজর কম।

দিনাজপুর-৩ আসনের সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম অবশ্য বললেন, গত ১০ বছরে জেলার মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতেও বিদ্যুৎ গেছে। নানা উন্নয়ন হয়েছে।

সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) জেলাওয়ারি বরাদ্দে কিন্তু বৈষম্যের ছাপ প্রকট। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) একটি গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, ২০১২-১৩ থেকে ২০১৬-১৭ সালে জেলাটিতে গড়ে এডিপির শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বরাদ্দ গিয়েছিল। তুলনায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে গিয়েছিল যথাক্রমে ২১ ও ১১ শতাংশ।

বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ১০ বছর আগে সরকারের পরিকল্পনা কমিশন দিনাজপুরসহ উত্তরের কয়েকটি জেলার উন্নয়নে বৈষম্যের কথা স্বীকার করেছে। কমিশন দারিদ্র্য নিরসনের জন্য কৌশলপত্র আর দিকনির্দেশনাও দিয়েছে।

কিন্তু আদিল বলেন, সেগুলো ধরে কাজ করা হয়নি। সরকার বিশেষ নজর না দিলে এসব এলাকায় দারিদ্র্য বাড়তেই থাকবে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তুহিন ওয়াদুদ বিবিএসের দারিদ্র্য মানচিত্র ধরে দুটি সরকারি দপ্তরের তথ্য নিয়ে হিসাব কষে করোনাকালের ত্রাণেও বৈষম্যের প্রতিফলন দেখেছেন।

তুহিন বললেন, গত ২৮ মে পর্যন্ত সরকার নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলায় পরিবারপিছু যথাক্রমে ২৬১ কেজি, ১৮৬ কেজি ও ১৮৭ কেজি চাল বরাদ্দ করেছে। কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর ও গাইবান্ধায় এ বরাদ্দের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৮ কেজি, ৬ কেজি ও ৭ কেজি।

বিবিএস বলছে, দেশে দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে কম নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলায়। প্রথম দুটি জেলায় এ হার এখন কম-বেশি ৩ শতাংশ। তৃতীয়টিতে ৪ শতাংশ। ছয় বছরের ব্যবধানে জেলাগুলোর দারিদ্র্য অনেক কমেছে। পক্ষান্তরে কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর ও গাইবান্ধায় দারিদ্র্য বেড়েছে।

দিনাজপুরের অধিকাংশ গরিব মানুষ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোর বাইরে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলাম বললেন, এযাবৎ আড়াই লাখের মতো মানুষ এসব কর্মসূচির আওতায় এসেছেন। বিবিএসের হিসাবে জেলায় মোট গরিব মানুষ আছে ২০ লাখের মতো।

এদিকে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) জ্যেষ্ঠ গবেষক জুলফিকার আলী বলছেন, দিনাজপুর দ্বিতীয় দরিদ্র জেলা কি না, তা বলার জন্য আরও গবেষণা দরকার। তবে এখানে দারিদ্র্যের হার অনেক জেলার তুলনায়ই বেশি।

বিআইডিএসের গত বছরের একটি গবেষণার বরাত দিয়ে জুলফিকার প্রথম আলোকে বলেন, দিনাজপুরে ভূমি ও অন্যান্য সম্পদের মালিকানা অসম। কাজের সুযোগ কম। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা উল্লেখজনক। গত কয়েক দশকে সরকার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের উদ্যোগ কম নিয়েছে। ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে।