কুমিল্লার দাউদকান্দির বেকিনগর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় সাংবাদিকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সদ্য সন্তান জন্ম দেওয়া স্ত্রীকে হাসপাতাল থেকে আনতে স্থানীয় ইলিয়টগঞ্জ বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন রাসেল মিয়া (২৮) নামের ওই সাংবাদিক।
দুর্ঘটনায় নিহত অন্য দুজন হলেন শরীফ সরকার (৩০) ও তাঁর ছোট ভাই তাফসির সরকার (১৮)। শরীফ পেশায় মৎস্য ব্যবসায়ী। নিহত তিনজনেরই বাড়ি উপজেলার বেকিনগর গ্রামে। রাসেল মিয়া কুমিল্লার স্থানীয় দৈনিক সমাজকণ্ঠ পত্রিকার দাউদকান্দি প্রতিনিধি ছিলেন।
তিনজনই একটি মোটরসাইকেলে করে বেকিনগর থেকে ইলিয়টগঞ্জ বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পথে ঢাকাগামী আল বারাকা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এর আগে যাত্রীবাহী বাসকে ধাক্কা দেয় ঢাকাগামী একটি ট্রাক। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তুফা কামাল বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে নিহত ব্যক্তিদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। যাত্রীবাহী বাসটি ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে।
নিহত সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যরা জানান, তিন দিন আগে দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জে একটি বেসরকারি হাসপাতালে রাসেলের স্ত্রীর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কন্যাসন্তান জন্ম দেন। ঈদ সামনে রেখে রাসেল তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতাল থেকে আনতে ইলিয়টগঞ্জ বাজারের দিকে রওনা দেন। কিছুদূর যাওয়ার পর দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহত তিনজন প্রতিবেশী। তাঁদের লাশ বাড়িতে নেওয়ার পর হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। রাসেলের ছোট ভাই আরিফ বলেন, ‘আজ শনিবার কোরবানির পশু কিনতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই ভাইকেই হারালাম।’