ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসা লোকজন দশম দিনেও কর্মস্থলে যোগ দিতে দলে দলে ঢাকায় ফিরছেন। লকডাউনে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় তাঁরা ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে পিকআপ ভ্যান ও মোটরসাইকেলে ঢাকায় যাচ্ছেন।
আজ রোববার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার আমিরাবাদ, গৌরীপুর, শহীদনগর, হাসানপুর ও বলদাখাল এলাকা ঘুরে ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ দেখা গেছে।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ঢাকার গার্মেন্টসকর্মী হালিমা আক্তার চাঁদরাতে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসেন। ১৬ মে পর্যন্ত ছুটি থাকলেও লকডাউনে যানবাহনের সমস্যার কারণে আজ সকালে স্বামী কবির হোসেন, ছেলে ওমর ফারুক, বড় বোন আঁখি আক্তার, বোনের মেয়ে মায়মুনা আক্তার ও আছমা আক্তারকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। সকাল ১০টার দিকে দাউদকান্দির বলদাখালে পৌঁছান তাঁরা। পরে প্রতিজন ৪০০ টাকা করে মাইক্রোবাসে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর পর্যন্ত রওনা দেন।
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার বহরী গ্রামের বাসিন্দা ঠিকাদার রাজীব হোসেন, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার বিঘা গ্রামের বাসিন্দা ঢাকার ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন একই অভিযোগ করেন। সাধারণ যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১০০ থেকে ২০০ টাকায় পিকআপ ভ্যানে ঢাকায় যাচ্ছেন। অনেকে বেশি টাকায় মাইক্রোবাসে করে যাচ্ছেন।
পিকআপ ভ্যানের চালক নারায়ণগঞ্জের মদনপুরের লীল মিয়া বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভালো চাপ আছে। আজ অফিস খোলার দিনে যাত্রীদের চাপ কয়েক গুণ বেড়েছে। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চাঁদা দিতে না হলে গাড়ির মালিক-চালকেরা লালে লাল হয়ে যেতেন।’
ঢাকাগামী প্রাইভেটকারের চালক খোকা মিয়া বলেন, ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ বাড়ায় পিকআপ ভ্যানের পাশাপাশি ছোট যানবাহনের চাপও রয়েছে।
দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশের টিএসআই মো. আশরাফ বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশ রাত-দিন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।