কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় চলন্ত বাসে আগুন লেগে দুজনের মৃত্যু ও ২২ জন দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করেন। মামলায় বাসমালিক ও চালককে আসামি করে তাঁদের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়।
এদিকে আজ শুক্রবার সকালে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া বাসের যাত্রী দাউদকান্দির তিনপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৭০) ও বনুয়াকান্দি গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে সাফিনের (৪) লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বনুয়াকান্দি গ্রামের গৃহবধূ রওশন আরা (৬৫) ও ময়মনসিংহের নান্দাইলের আঠারবাড়ি এমসি উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মো. রিয়াদকে (১৮) ঢাকায় পাঠানো হয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল হক বলেন, দগ্ধ ২২ জনের মধ্যে ১৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মতলব এক্সপ্রেসের যাত্রীবাহী বাসে গ্যাসের সিলিন্ডার ফুটা হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে বাসের দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। দগ্ধ হন ২২ জন।
এই ঘটনার পর দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিহত দুজনের পরিবারকে লাশ দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা এবং আহতদের প্রত্যেকের জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেন ইউএনও। দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।