নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিপক্ষে অবস্থান নিলে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। আজ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই কথা বলেন। তিনি আইভীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, মীর্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই প্রমুখ।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, গত দুবারের সিটি মেয়র আইভীকে দল থেকে মনোনয়ন দেন সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের ভেতরে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। দলে কোনো বিভক্তি নেই। এই সভাতেও জেলা ও মহানগরের সব নেতারা আছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে ব্যক্তি কোনো বিষয় নয়। এই নির্বাচনে আমি কী অবদান রাখব, সেটিই বিষয়। এই নির্বাচনে আমি আমার দায়িত্ব পালন করব, নাকি করব না, সেটি আমার ওপর নির্ভর করে। আমি যদি কোনো কিছু করতে, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হই, সেই দায়িত্ব আমাকে বহন করতেই হবে। সেই ব্যর্থতার দায়-দায়িত্বের জন্য দলের কাছে জবাবদিহি করতে হবে, সে যে-ই হোন না কেন। নৌকা মার্কা নিয়ে আইভী নির্বাচন করছেন, আমরা আশা করি যাঁরা নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁরা নৌকার পক্ষে কাজ করবেন। আর যদি না করেন, তাহলে নিজের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।’
জাতীয় পার্টির সাংসদ সেলিম ওসমানের প্রতি ইঙ্গিত করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘জাতীয় পার্টি আমাদের নির্বাচনী জোটের শরিক অংশ। আমরা আশা করি, জাতীয় পার্টির স্থানীয় যে সংসদ সদস্য আছেন, তিনি বিষয়টি উপলব্ধি করবেন। তিনি নৌকার সমর্থন নিয়ে লাঙ্গল মার্কায় নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। অথচ তাঁরা আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা তাঁদের সমর্থন আশা করি।
নারায়ণগঞ্জের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বড় বিষয় জনসমর্থন, গণসমর্থন। আমার কাছে মনে হয়েছে নৌকার পক্ষে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। এই জাগরণের ফলে এবার আইভী লক্ষাধিক ভোটে বিজয়ী হবেন।’ দলের বাইরে বা ভেতরে থেকে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, ‘রাজনীতি কোনো শৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে নয়। কেউ দলে অপরিহার্য নয়। দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে যাঁরা অবস্থান নেবেন, আমরা তাঁদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি। তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আর কোনো কিছুই করার থাকবে না।’