সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার করগ্রামের বাসিন্দা বাদল দাশ (৫২)। স্ত্রী সাথী রানী দাশকে (৪০) নিয়ে তাঁর ছোট সংসার। তিন ছেলে থাকলেও তাঁরা আলাদা থাকেন। বন্যায় ঘরে পানি উঠলে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেন। পেশায় দিনমজুর বাদল দাশ আয়রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্ত্রীকে নিয়ে খাদ্যসংকটে ভুগছিলেন। এ অবস্থায় বাদলের হাতে প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে তুলে দেওয়া হয় ত্রাণের বড়সড় একটি প্যাকেট।
আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটায় ত্রাণের প্যাকেট হাতে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বাদল। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগের মতো কাজ করার শক্তি নাই শরীরে। আর কাজ যে করব, সেটারও সুযোগ নাই। চারদিকে পানি আর পানি। কামাই না থাকায় মানুষের কাছে ধারদেনা করে চলছি।’
বাদল দাশসহ বিয়ানীবাজার উপজেলার করগ্রাম ও উজানঢাকি গ্রামের ১৫০টি পরিবারের সদস্যদের হাতে আজ প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। প্রত্যেকের হাতে ৫ কেজি করে চাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি আটা, ১ কেজি লবণ, ১০০ গ্রাম করে গুঁড়া মরিচ ও গুঁড়া হলুদ তুলে দেওয়া হয়। ত্রাণ পেয়ে উচ্ছ্বসিত সবাই।
উপজেলার করগ্রামের সুরমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এ সময় স্থানীয় সমাজকর্মী মনিরুজ্জামান ও তারেক আহমদ, প্রথম আলো বন্ধুসভা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক অন্তর শ্যাম, সদস্য ইয়াহিয়া হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ত্রাণ পেয়ে উজানঢাকি গ্রামের দীপা রানী (২৫) প্রথম আলোকে বলেন, স্বামী ও ছয় সন্তানকে নিয়ে পানিবন্দী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ঋণের টাকায় চাষ করা স্বামীর এক একর জমির সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে। স্বামীর উপার্জনও বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় চরম খাদ্যসংকটে পড়েন তাঁরা। এখন প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণ পেয়ে কিছুটা হলেও তাঁর স্বস্তি ফিরেছে।
বন্যার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন। সহায়তা পাঠানো যাবে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে। হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল, হিসাব নম্বর: ২০৭২০০১১১৯৪, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা। অথবা বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে। এ ছাড়া বিকাশ অ্যাপের ডোনেশনের মাধ্যমেও আপনার সহযোগিতা পাঠাতে পারেন।