স্বামীহারা ষাটোর্ধ্ব রহিমা বেগমের অভাবের সংসার। গৃহকর্মীর কাজ করে সংসার চালান। বন্যায় তাঁর টিন-মাটির ঘরটি বিধ্বস্ত হয়েছে। একে তো খাবারের সংকট, তার মধ্যে ঘর সংস্কার নিয়ে আছেন দুশ্চিন্তায়। এমনই পরিস্থিতিতে প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় ত্রাণের প্যাকেট। ত্রাণ পেয়ে আনন্দে আত্মহারা রহিমা কেঁদে ফেলেন।
রহিমা বেগমের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলার হাটখোলা ইউনিয়নের শিবেরবাজার গ্রামে। আজ বুধবার দিনভর রহিমাসহ সদর উপজেলার নাজিরগাঁও, শিবেরবাজার, পাইকরাজ ও শাহপরান এবং নগরের কুয়ারপাড় ও মণিপুরি রাজবাড়ি এলাকায় গিয়ে ৭৫ জন বন্যার্ত মানুষের হাতে প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। প্রত্যেকের হাতে পাঁচ কেজি চাল, এক লিটার সয়াবিন তেল, এক কেজি মসুর ডাল, এক কেজি আটা, এক কেজি লবণ, ১০০ গ্রাম গুঁড়া মরিচ ও গুঁড়া হলুদ তুলে দেওয়া হয়। ত্রাণ পেয়ে উচ্ছ্বসিত সবাই।
রহিমা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে। কোথায় গেছেন তিনি জানেন না। ছেলের স্ত্রীও বছর চারেক আগে নতুন সংসার পেতেছেন। দুই নাতি-নাতনিকে নিয়ে তিনি কোনোমতে কষ্ট করে চলছেন। ঘরে বন্যায় পানি ওঠায় ১৬ জুন আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেন। কয়েক দিন আগে বাড়ি ফিরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এর পরের দিন তাঁর পায়ে আলপিন বিঁধে। এখন কাজেও যেতে পারছেন না। এখন ত্রাণ পেয়ে খাবারের চিন্তা কয়েক দিনের জন্য দূর হয়েছে তাঁর।
ত্রাণ বিতরণকালে শিবেরবাজার এলাকার সমাজকর্মী ছালেক চৌধুরী, প্রথম আলো বন্ধুসভা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক অন্তর শ্যাম, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক দৃষ্টি বর্মণ, ম্যাগাজিন সম্পাদক গায়ত্রী বর্মণ, সমাজকল্যাণ ও পরিবেশ সম্পাদক তমা সূত্রধর, সদস্য ইয়াহিয়া হোসেন, ফারহানা হক, হৈমন্তী দাস, মো. আব্দুল মুহাইমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাজকর্মী ছালেক চৌধুরী বলেন, প্রথম আলো বন্যার্ত মানুষের পাশে দুর্যোগ শুরুর সময় থেকেই এগিয়ে এসেছে। এটি মানবিকতার অনেক বড় উদাহরণ।
বন্যার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন। সহায়তা পাঠানো যাবে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে। হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল, হিসাব নম্বর: ২০৭২০০১১১৯৪, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা। অথবা বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে। এ ছাড়া বিকাশ অ্যাপের ডোনেশনের মাধ্যমেও আপনার সহযোগিতা পাঠাতে পারেন।