সিলেটের বিয়ানীবাজার

তৃণমূলের সর্বোচ্চ ভোট পেয়েও আ.লীগের মনোনয়ন পাননি তিন প্রার্থী

ইউপি নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন চতুর্থ ধাপে আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ইউপিগুলোতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে ১৪ নভেম্বর তৃণমূলের ভোট গ্রহণ হয়। এতে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউপিতে ভোটের মাধ্যমে ও ৩টিতে সমঝোতার মাধ্যমে প্রার্থী মনোনীত করে কেন্দ্রের মনোনয়ন বোর্ডে পাঠানো হয়।

উপজেলার ভোটাভুটি হওয়া সাতটি ইউপিতে তৃণমূলের সর্বোচ্চ ভোট পেয়েও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড তিনটি ইউপির প্রার্থী পরিবর্তন করেছে। গত মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড দলীয় প্রার্থীর ওই তালিকা ঘোষণা করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের ১০ ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা পলাশ আফজল। তবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড বর্তমান চেয়ারম্যান তৃণমূলের ছয় ভোট পাওয়া আবদুস সালামের ওপর আস্থা রেখে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে নৌকা প্রতীক দিয়েছে। মোল্লাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের আট ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশরাফুল ইসলাম। তবে দলীয় মনোনয়ন বোর্ড তৃণমূলের সাত ভোট পাওয়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমদকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছে। তিলপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের আট ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন বিবেকানন্দ দাস। তবে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড তৃণমূলের সাত ভোট পাওয়া সাবেক চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিনকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছে।

পলাশ আফজাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছি। তৃণমূলে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হতে হয়েছে। নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দীর্ঘদিন ধরে মাঠে কাজ করছি। ইউনিয়নবাসী ও তৃণমূলের সমর্থন পেলেও কেন্দ্রের মনোনয়ন পাইনি। আমাকে কেন মনোনয়ন দেওয়া হয়নি, সে উত্তর আমার কাছে নেই।’

আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘সভানেত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, দলের ভালো হবে বলে নিয়েছেন। আমি এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। একই সঙ্গে হতাশ নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘তৃণমূলের সিদ্ধান্ত আমরা কেন্দ্রে জানিয়েছি। তবে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড তিনটি ইউপিতে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে। যদিও ভোটাভুটিতে তৃণমূলের সর্বোচ্চ মনোনয়ন পেয়েও দলীয় মনোনয়ন পাননি, তাঁদের কর্মীরা কিছুটা হতাশ হলেও দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ যাওয়ার উপায় নেই। যাঁকে দলীয় নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়েছে, তাঁকে বিজয়ী করতে সবাইকে কাজ করতে হবে।’