তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ছয়টার দিকে ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে কুয়াশা কেটে গেলে সকাল নয়টার দিকে আবারও ফেরি চলাচল শুরু হয়।
এদিকে কয়েক ঘণ্টা ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত বিভিন্ন গাড়ি ও পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়ে। এতে দুর্ভোগে পড়েছিলেন যাত্রী ও যানবাহনের শ্রমিকেরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে পদ্মা নদীতে ঘন কুয়াশা পড়ে। কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে গেলে সকাল ছয়টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় পথ হারিয়ে উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে আসা খানজাহান আলী ও হাসনা হেনা নামের দুটি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে মাঝপদ্মায় নোঙর করতে বাধ্য হয়। এ সময় পাটুরিয়া প্রান্তে আটটি ও দৌলতদিয়া প্রান্তে ছয়টি ফেরি অবস্থান করছিল।
ফেরি পারাপার বন্ধ থাকায় ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসের সারি পাটুরিয়া-উথলী সংযোগ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এদিকে ব্যক্তিগত বিভিন্ন গাড়ি পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাট থেকে আরসিএল মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ সারিতে আটকা পড়ে। এ ছাড়া পণ্যবাহী গাড়িগুলো পাটুরিয়ায় টার্মিনাল, পাটুরিয়া-উথলী সড়ক ও উথলী মোড় এলাকায় সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে।
ঘাট এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক যুবায়েদ হোসেন বলেন, ফেরি বন্ধ থাকায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে। সকাল নয়টা পর্যন্ত যাত্রীবাহী অর্ধশতাধিক বাস, দেড় শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি ও পাঁচ শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি পাটুরিয়া প্রান্তে আটকা পড়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহিউদ্দিন রাসেল বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়েছিল। এতে ঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের চাপ কিছুটা বেশি। তবে সকাল নয়টায় আবার ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়িগুলো আগে পারাপার করা হচ্ছে।