‘আমি বাঁচতে চাই, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আজমীর শেখের পাশবিক নির্যাতন ও অত্যাচার থেকে বাঁচতে চাই। আমার পরিবারকেও বাঁচাতে চাই।’ আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন আকুতি জানিয়েছেন ওই তরুণী (২২) ও তাঁর পরিবার।
ওই তরুণী জানান, ‘যুবলীগ নেতা আজমীর শেখের ছোট ভাই প্রিন্স আমাকে পছন্দ করত। বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি আজমীর শেখ ও তাঁর দুই বোনের কাছে জানানো হয়েছিল। প্রিন্স আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। এ নিয়ে আজমীর শেখের সঙ্গে প্রিন্সের ঝগড়া হয়। এর রেশ ধরে প্রিন্স শেখ আত্মহত্যা করে। এই আত্মহত্যার দায় আমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হয়। ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বরে আমাকে ও আমার পরিবারের অন্য সদস্যদের আজমীর ও তাঁর ফুপাতো ভাই বিটু ও নান্টু ব্যাপক মারধর করেন। পুলিশ এলে, আজমীর শেখের বাবা নিজে সাক্ষী দেন, তাঁর ছোট ছেলে প্রিন্স বড় ছেলে আজমীরের জন্যই মারা যায়। আজমীর দলের ক্ষমতা ব্যবহার করে আমার ভাই ও বাবাকে বাড়িছাড়া করেন। আমার মা ও আমাকে ৫০ দিন তালাবন্ধভাবে আটক করে রাখেন। এ ৫০ দিন মুড়ি ও রুটি খেয়ে বেঁচে ছিলাম। কোনো আত্মীয়স্বজনকে বাড়িতে আসতে দেয়নি আজমীর বাহিনী। এর মধ্যে তাঁরা আমাদের জায়গা দখল করে বাসায় সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছেন।’
ওই তরুনী আরও বলেন, ‘আজমীর শেখ আমাকে অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে মারার হুমকি দিচ্ছেন। আমাকে ধর্ষণেরও হুমিক দিচ্ছেন। তাঁর বাহিনী আমার পরিবারকে নানাভাবে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তাঁদের দলীয় ক্ষমতার কারণে আমরা খুব অসহায় অবস্থায় আছি।’
ওই তরুণী মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাঁর তিন ভাই ও এক বোন। কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আজমীর সেখ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের দক্ষিণ দেওসার এলাকার বাসিন্দা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওই তরুণীর বাবা, মা, ভাই ও মামা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজমীর প্রথম আলোকে বলেন, ওই সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বিরুদ্ধে যতগুলো অভিযোগ আনা হয়েছে, সবগুলোই মিথ্যা। তাঁকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য একটি পক্ষ ওই মেয়েকে দিয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন করিয়েছে।
ওই তরুণীর গায়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ ও তাঁকে ধর্ষণের হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে আজমীর শেখ বলেন, যে পক্ষ তাঁকে দিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করিয়েছে, তারাই ওই তরুণীর গায়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ ও তাঁকে ধর্ষণ করতে পারে। এ জন্য মেয়েটিকে সচেতন থাকতে হবে।