রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের তারগাছ এলাকা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে থেমে থেমে যানজট দেখা দিচ্ছে। এতে যান চলাচলে ধীরগতি সৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন অনেকে। এর মাঝে কেউ কেউ হেঁটেই রওনা হচ্ছেন গন্তব্যের উদ্দেশে।
সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলেছেন, বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত চলছে বিআরটি (বাস র্যাপিড ট্রানজিট) প্রকল্পের কাজ। এ কাজ করতে গিয়ে সড়কের বিভিন্ন অংশে তৈরি হয়েছে ছোট–বড় গর্ত-খানাখন্দ। এর মাঝে গতকাল সোমবার রাতের বৃষ্টিতে সেসব গর্ত-খানাখন্দে পানি জমেছে। এতে ঠিকমতো যানবাহন চলাচল করতে না পারায় যানজট দেখা দিচ্ছে। এর বাইরে বিভিন্ন অংশে লেন সংকোচন হয়ে পড়ায় যান চলাচলে ধীরগতি তৈরি হচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সড়কটির আবদুল্লাহপুর মোড়ে যানবাহনের জটলা দেখা যায়। এর মাঝে কোনো গাড়িই ঠিকমতো গাজীপুর অংশে ঢুকতে পারছিল না। আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়ক ও টঙ্গী-ঘোড়াশাল সড়কে এ সমস্যা দেখা দেয় সবচেয়ে বেশি।
টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় কথা হয় ময়মনসিংহগামী ‘আলম এশিয়া’ পরিবহনের সহকারী মো. সিদ্দিকুরের সঙ্গে। তিনি জানান, সকাল সাড়ে আটটার দিকে মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে গাড়ি নিয়ে বেশ ভালোভাবেই বিমানবন্দর পর্যন্ত আসেন। কিন্তু এরপর থেকেই থেমে থেমে যানজট দেখা দেয়। বিমানবন্দর থেকে স্টেশন রোড পর্যন্ত আসতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাগে।
এদিকে যানজট থাকায় অনেককে অল্প দূরত্বের পথ হেঁটে যেতে দেখা গেছে। বিশেষ করে টঙ্গী থেকে আবদুল্লাহপুর, আবদুল্লাহপুর থেকে কামারপাড়া বা আশপাশের এলাকায়। টঙ্গী সেতুতে কথা হলে রোকসানা আক্তার নামের এক পথচারী বলেন, ‘গাড়িতে ওঠার পর থ্যাইকায় যানজট। এরপর আবার নাইমা হাঁটা শুরু করছি। যে করেই হোক দুপুরের আগে মহাখালী যাওন লাগবো।’
আবদুল্লাহপুর পুলিশে বক্সের পরিদর্শক সাজ্জাত হোসেন বলেন, সড়কের কাজ ও বৃষ্টির কারণে সকাল থেকেই সড়কে যানবাহনের চাপ সৃষ্টি হয়। কোনো গাড়িই গাজীপুর এলাকায় ঢোকানো যাচ্ছিল না। এ কারণে সকাল থেকেই থেমে থেমে যানজট ছিল। তবে দুপুরের পর থেকে যান চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক হচ্ছে।