ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই থেকে জামুর্কী পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার সড়কে গাড়ির চাপ থাকলেও কোনো যানজট নেই। মহাসড়কের এই অংশে ঈদে ঘরমুখী মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করছেন। গত ঈদের তুলনায় এবারের ঈদুল আজহায় রাস্তায় মোটরসাইকেল খুবই কম দেখা গেছে।
আজ শুক্রবার সকালে মহাসড়ক ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। রাস্তায় যানবাহনের চাপ আছে। বাস, ট্রাক কিংবা পিকআপ ভ্যানে প্রচুর যাত্রী। যানবাহনে উঠতে উত্তরাঞ্চলমুখী যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা মির্জাপুর, দেওহাটা, কুর্ণী বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
সকাল আটটার দিকে মির্জাপুর বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে দেখা যায়, উত্তরাঞ্চলমুখী অনেক যাত্রী দাঁড়িয়ে আছেন। সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ট্রাক, পিকআপ কিংবা বাসের গতি কমালেই যাত্রীরা ওঠার জন্য দৌড়াচ্ছেন। রাস্তায় যান থামিয়ে ওঠানামা করলেই পেছনের গাড়ির সারির গতি কমছে।
গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় একটি কারখানায় চাকরি করেন সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় এলাকার সমেজপুর গ্রামের আমিরুল ইসলাম। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পিকআপ ভ্যানে করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। পথে মির্জাপুর বাসস্ট্যান্ডে পিপাসা মেটাতে পানি খাচ্ছিলেন। তিনি জানান, বাসে দুই হাজার টাকা ভাড়া চাওয়া হয়েছিল তাঁদের কাছে। পরে জনপ্রতি ৪০০ টাকা ভাড়ায় পিকআপ ভ্যানে উঠেছেন। স্বাভাবিক সময়ে পিকআপে ১০০ আর বাসে ২০০ টাকা হলেই চন্দ্রা পর্যন্ত যাতায়াত করা যায়।
এদিকে মহাসড়কে ঢাকা মহানগর ও আশপাশে চলাচলকারী যানবাহনও এই মহাসড়কে চলছে। এর মধ্যে দ্বিতল বাস, গুলশান চাকা, ভিআইপি, মৌমিতা, ঢাকা-কুমিল্লা সড়কে চলাচলকারী তিশা পরিবহনসহ বিভিন্ন নামের বাস দেখা গেছে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা সার্ভিস লেন বাদ রেখে মূল সড়কে চলছে।
মির্জাপুরের ট্রাফিক পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাক আহমেদ জানান, মহাসড়কে টাঙ্গাইলের অংশে আপাতত কোনো জট নেই। তবে যানবাহনের প্রচুর চাপ রয়েছে। যানবাহনের গতি স্বাভাবিক। যানজট এড়াতে পুলিশ মহাসড়কে সার্বক্ষণিক তৎপরতা চালাচ্ছে।