ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার রায়পুর থেকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা সেতু এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট চলছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থেকে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে পড়া মালবাহী যানবাহন এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীর ওপর দ্বিতীয় সেতুর সংযোগের কাজের কারণে মহাসড়ক সংকুচিত হওয়ায় হঠাৎ যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে এ যানজটের সৃষ্টি। রমজানের মধ্যে প্রচণ্ড গরমে যাত্রীদের ভোগান্তি সীমা ছাড়িয়েছে।
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর মুন্সী ফজলুর রহমান সরকারি ডিগ্রি কলেজের মানবিক শাখার এইচএসসি পরীক্ষার্থী তানিয়া আক্তার, ইমরান হোসেন, মাসুদ আলম বলে, কৃষিবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার দিন রওনা দিয়ে যানজটে আটকে পড়ে তারা। রোজা রেখে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ছয় কিলোমিটার পথ হেঁটে ও দৌড়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে হয়েছে।
গতকাল ইফতারের সময় দাউদকান্দির গৌরীপুরে যানজটে আটকা থেকে ঢাকাগামী হিমাচল বাসের চালক মোতালেব হোসেন ও এনা বাসের সুপারভাইজার মাসুদ রানা বলেন, এমন যানজটে আটকা পড়ার কথা তাঁরা ভাবতেও পারেননি। বাসের যাত্রীসহ সবাইকে ইফতারের সময় কষ্ট পেতে হয়েছে।
দাউদকান্দির শহীদনগরের দোকানদার রাশেদুল ইসলাম বলেন, স্বাভাবিক দিনের মতো বিক্রির জন্য ইফতারি বানানো হয়েছিল। কিন্তু যানজটের কারণে যাত্রী-চালকের সংখ্যা বেড়ে যায়। তবে বাড়তি চাহিদা পূরণ করা যায়নি।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী ট্রাকের চালক বিল্লাল মজুমদার আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে দাউদকান্দির আমিরাবাদ এলাকায় বলেন, ঢাকা থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত এক ঘণ্টার পথ নয় ঘণ্টা লাগছে।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে পড়া মালবাহী যানবাহন এবং মেঘনা নদীর ওপর দ্বিতীয় সেতুর সংযোগের কাজের কারণে মহাসড়ক সংকুচিত হওয়ায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে হাইওয়ে পুলিশের প্রাণপণ চেষ্টা চলছে।