ঈদ কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ১০ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখী যাত্রীরা। তবে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা।
অনেক কর্মজীবী মানুষকে হেঁটে নিকটবর্তী গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর থেকে সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া পর্যন্ত এ যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া মোগরাপাড়া থেকে মেঘনাঘাট পর্যন্ত গাড়িগুলো ধীরগতিতে চলতে দেখা গেছে।
কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগ এড়াতে আজই মানুষ গ্রামের দিকে ছুটছেন। এ জন্য আজ দুপুর থেকেই যাত্রীদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। এদিকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে পরিবহনমালিকদের বিরুদ্ধে।
তীব্র গরমে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকায় ঘরমুখী যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ যানজটে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের অনেক সময় বেশি লাগছে।
কথা হয় শাহ আলম নামের এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার অফিস আগামীকাল ছুটি দেবে। কিন্তু আগামীকাল থেকে যাত্রীর চাপ বেশি হতে পারে, সে জন্য দুর্ভোগ এড়াতে পরিবারকে গ্রামে পাঠিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু এসে দেখি, মহাসড়কে যানজট। আবার গাড়িও ঠিকমতো পাচ্ছি না। তাই পরিবারকে আজ গ্রামে পাঠাব কি না, বুঝতে পারছি না।’
মোর্শেদা খাতুন নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামে উদ্দেশে দুপুর ১২টায় কাচঁপুর থেকে গাড়িতে উঠেছি। ৩০ মিনিটে মাত্র মদনপুর এসেছি। যেখানে কাঁচপুর থেকে মদনপুর যেতে সর্বোচ্চ ১০-১৫ মিনিট লাগে। এখনো মদনপুর সিগন্যালে বসে আছি। জানি না কখন চট্টগ্রাম পৌঁছাব।’
আলী আহমেদ নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘জরুরি কাছে মোগরাপাড়ার উদ্দেশে বের হয়েছিলাম। শিমরাইল মোড় থেকে মোগরাপাড়া আসতে দেড় ঘণ্টা সময় লেগে গেছে। যে সময়ে এত দিন মোঘরাপাড়া গিয়ে আবারও শিমরাইল মোড়ে চলে আসতে পারতাম।’
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীর হোসেন বলেন, ‘যাত্রী চাপ বেশি থাকায় এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে আমরা কাজট করে যাচ্ছি।’