ভোলার মনপুরা উপজেলায় মেঘনা নদীতে আজ মঙ্গলবার মাছ ধরা ট্রলারের ধাক্কায় যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এতে ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাজিরহাট ল্যান্ডিং স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কয়েকজন যাত্রী বলেন, ধাক্কা খেয়ে ট্রলারটির একপাশ ভেঙে যায়। সেটি ডুবতে ডুবতে ঘাটের দিকে এগোতে থাকে। তখন যাত্রীদের কেউ আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায়, কেউ সাঁতরে তীরে ওঠেন। গবাদিপশুগুলোও উদ্ধার করা হয়। পরে ট্রলারটি ডুবে যায়।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন মনপুরার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের মো. জসিম (৫০), মো. হেলাল (৫২), রিপা বেগম (২৫), আয়েশা আক্তার (১) ও তানজু আক্তার (৪), দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের স্বপ্না বেগম (৫৫), রেহানা বেগম (৩৫), মনোয়ারা বেগম (৪৫), ফারজানা আক্তার (৫), রিফাত আক্তার (৬) ও মোসা. মুনতাহা (৩), লালমোহন উপজেলার মো. রুবেল (২২) এবং নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নূরন্নবী মাঝি (২০) ও মো. নাজিম (১৯)।
ডুবে যাওয়া ট্রলারের সব যাত্রীকে উদ্ধার হয়েছে। ট্রলারটিও উদ্ধার হয়েছে।সাখাওয়াত হোসেন, ওসি, মনপুরা থানা
দুর্ঘটনায় পড়া ট্রলারটির মাঝি মো. আলাউদ্দিন ও কয়েকজন যাত্রী জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মনপুরার মাস্টারহাট ঘাট থেকে শতাধিক যাত্রী ও কয়েকটি গবাদিপশু নিয়ে ট্রলারটি নোয়াখালীর হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ল্যান্ডিং স্টেশন ঘাট এলাকায় ইসলাম মাঝির ট্রলারের সঙ্গে এটির ধাক্কা লাগে। এতে ২০ জন যাত্রী ট্রলারের মধ্যে ও নদীতে ছিটকে পড়েন। আশপাশের জেলেরা তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ডুবে যাওয়া ট্রলারের সব যাত্রীকে উদ্ধার হয়েছে। ডুবে যাওয়া ট্রলারটিও উদ্ধার হয়েছে।