সীতাকুণ্ডে জোনায়েদ সাকি

ডিপোতে বিস্ফোরণকে নাশকতা বলে দায় চাপানোর চেষ্টা চলছে

জোনায়েদ সাকি
ফাইল ছবি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে এত বড় একটি দুর্ঘটনাকে নানা ধরনের রাজনৈতিক প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। দুর্ঘটনাটিকে নাশকতা বলে কোনো একটা পক্ষের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা চলছে।

মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপো পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘অতীতের ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, কোনো কারখানা বা প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনা ঘটলে তা নাশকতা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়। এখানে কোথাও নাশকতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পুরোপুরি কারখানা ব্যবস্থাপনার গাফিলতিতে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। আমরা ঘটনাগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত দাবি করছি।’

এর আগে বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

রাশেদ খান বলেন, ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন, তাঁদের যেটুকু আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকার কথা, তা ছিল না। এ ছাড়া মালিকপক্ষের দায়িত্বহীনতা ফুটে উঠেছে। এ ধরনের কারখানাগুলোয় সাধারণত বিমার টাকা পাওয়ার জন্য অনেক সময় কারখানা কর্তৃপক্ষ আগুনের সূত্রপাত ঘটিয়ে থাকে, এখানে সে রকম কিছু ঘটেছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা উচিত।

জনগণের জীবনকে বলি দিয়ে সরকার যে উন্নয়নে রোডম্যাপ তৈরি করছে, এসব দুর্ঘটনা সেটিকে অবান্তর প্রমাণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

তিনি বলেন, ‘এত বড় দুর্ঘটনা সামাল দেওয়ার সামর্থ্য আমাদের নেই। এর আগে যতগুলো ঘটনা ঘটেছিল, সেগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে কি না কিংবা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়েছে কি না, তা আমাদের জানা নেই। যদি বাস্তবায়ন হতো, তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না।’

গত শনিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর লোডিং স্টেশন এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এর দেড় ঘণ্টা পর একটি কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক বিস্ফোরিত হয়। এরপর একের পর এক বিস্ফোরণে আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এ দুর্ঘটনায় গত তিন দিনে ৪৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।