রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত তিন বাংলাদেশিকে নির্মাণশ্রমিককে কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড় থেকে উদ্ধার করেছেন র্যাব-১৫–এর সদস্যরা। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার নয়াপাড়া মোছনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আই ব্লক–সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া তিনজন হলেন নোয়াখালীর হাতিয়ার বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম (২৪), নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের আল আমিন (২৭) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের মুক্তার হোসেন মৃধা (২৭)। সন্ত্রাসীর গত শুক্রবার তাঁদের অপহরণ করে পরিবারের কাছে মুঠোফোনে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কক্সবাজার র্যাব-১৫–এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী বলেন, অপহৃত তিন নির্মাণশ্রমিককে কাজ দেওয়ার কথা বলে গত শুক্রবার বিকেলে টেকনাফের হ্নীলার নয়াপাড়ার মোছনি এলাকায় ডেকে আনা হয়। পরে তিনজনকে অপহরণ করে গহিন পাহাড়ে নিয়ে যায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। তাঁদের পরিবারের কাছে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।
এই র্যাবের কর্মকর্তা আরও বলেন, অপহৃত আজিজুল ইসলামের বড় ভাই হাসান মোহাম্মদ সায়েম বিষয়টি র্যাবকে অবহিত করেন। সেই সূত্র ধরে র্যাবের একটি দল শনিবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে নয়াপাড়া মোছনি রোহিঙ্গা–সংলগ্ন পাহাড়ের পাদদেশে অভিযান চালায়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় অন্তত ১৮ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী। পরে ঘটনাস্থল থেকে অপহৃত তিন নির্মাণশ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া শ্রমিকেরা জানান, মুঠোফোনের মাধ্যমে নির্মাণশ্রমিকের কাজ দেওয়ার কথা বলে তাঁদের তিনজনকে ডেকে আনা হয়। এরপর কাজ দেখানোর কথা বলে তাঁদের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রাখে। মারধর করে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। আগে থেকে এ এলাকায় নির্মাণশ্রমিকের কাজ করায় তাঁরা অপহরণকারী রোহিঙ্গা ডাকাত পুতিয়া, এহসান, আলম, জুবায়েরকে চিনতে পেরেছেন।
র্যাবের কর্মকর্তা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী বলেন, এ ব্যাপারে আজিজুল ইসলামের বড় ভাই বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি মামলা করেছেন। অপহরণকারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।