চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্যের ক্রেতাদের পরিচিতি কার্ড (ফ্যামিলি কার্ড) তৈরিতে ১০০ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বিল্লাল হোসেনের সহযোগী মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা। অবশেষে সেই অর্থ ফেরত দিলেন মজিবর।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে নেওয়া ১০০ টাকা করে মোট ৫০০ টাকা ফেরত দেন মুজিবর। আর কর্তব্যে অবহেলার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান করিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাছলিমা আক্তার বলেন, প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে অভিযুক্ত মজিবর পাঁচজনের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দিয়েছেন। তা ছাড়া ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারেন না। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ কর্মসূচি নিয়ে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবি পণ্য বিক্রির জন্য মোট ১ হাজার ৩৭৬টি কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়, যার মধ্যে ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও ২ নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেনকে ২০টি কার্ড দেওয়া হয়। বিল্লাল হোসেন এর মধ্যে কিছু কার্ড বিতরণের জন্য তাঁর অনুসারী মজিবর রহমানকে দায়িত্ব দেন। মজিবর রহমান কার্ড বিতরণের সময় প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০০ টাকা নেন। গত বুধবার ইউনিয়ন পরিষদে পণ্য কেনার সময় ভুক্তভোগীরা টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান। গতকাল রাতে প্রথম আলো অনলাইনে ‘টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড তৈরিতে ১০০ টাকা আদায়ের অভিযোগ’ শীর্ষক শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।