বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলায় করোনাভাইরাসের টিকা নিতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা খুবই কম। ফলে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থাকা টিকা মেয়াদ শেষের আগেই ব্যবহারের জন্য জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনার টিকা প্রদানে মানুষকে সচেতন করার জন্য তাঁরা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার–প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। স্থানীয় মানুষের এই করোনার টিকা নিতে অনীহা রয়েছে। ফলে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ৭ মার্চ দুই হাজার ডোজ করোনার টিকা ফেরত পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, আমতলী-তালতলী উপজেলার সাড়ে ৪ লাখ মানুষের জন্য ৭ হাজার ২৮০ ডোজ টিকা দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। ওই টিকা গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেওয়া শুরু হয়। গত ১ মাসে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ২ উপজেলার ৪ হাজার ১১১ জনকে টিকা দিয়েছেন। কিন্তু মানুষের টিকা নিতে অনীহা থাকায় প্রায় তিন হাজার ডোজ টিকা হাসপাতালে সংরক্ষিত ছিল। এসব টিকার মেয়াদ আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত রয়েছে। টিকা প্রদানের হার কম হওযায় ৭ মার্চ ২০০ ভায়েল, অর্থাৎ ২ হাজার মানুষের টিকার ডোজ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ফেরত পাঠানো হয়।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৭০ জন টিকা নিচ্ছেন। এই অনুযায়ী টিকা দেওয়া হলে মেয়াদ শেষের আগে সব টিকার ডোজ শেষ না–ও হতে পারে। ফলে মেয়াদ শেষের আগেই টিকাগুলো অন্যত্র ব্যবহারের জন্য জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, তবে তাঁদের টিকার সংকট নেই। হাসপাতালে এখনো দেড় হাজারের মতো টিকার ডোজ রয়েছে। আগ্রহী মানুষেরা এই টিকা নিতে পারবেন।
বরগুনা সিভিল সার্জন মারিয়া হাসান প্রথম আলোকে বলেন, কার্যক্রম শুরুর দিক থেকেই সাধারণ মানুষকে করোনার টিকা গ্রহণে সচেতন করতে বা আগ্রহী করে তুলতে প্রচার-প্রচারণায় কোনো ঘাটতি ছিল না, সব পর্যায় থেকে টিকা গ্রহণের জন্য সাধারণ মানুষের সচেতন করেছেন। তবে মানুষের অনীহার কারণে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে টিকা ফেরত এসেছে। তিনি বলেন, জেলায় মোট ২৭ হাজার লোক টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার লোক টিকা গ্রহণ করেছেন।