করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে টাঙ্গাইল শহরের কান্দাপাড়ায় অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর যৌনপল্লিতে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যাতায়াত নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। এ সময় ওই পল্লি থেকে কোনো যৌনকর্মী বাইরে বের হতে পারবেন না। কেউ পল্লিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার (এসপি) সুঞ্জিত কুমার রায় ও সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান শুক্রবার যৌনপল্লিতে গিয়ে যৌনকর্মীদের মধ্যে ৩০ কেজির ৫০০ বস্তা চাল বিতরণ করেন। পাশাপাশি ওই নির্দেশ দেন। কেউ এ নির্দেশ অমান্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোশারফ হোসেন খান জানান, পল্লি বন্ধ হওয়ার কারণে আপাতত প্রত্যেককে চাল দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তাঁদের বাড়িভাড়াসহ অন্য বিষয়গুলোও বিবেচনা করা হবে।
জেলা প্রশাসন এবং যৌনকর্মীদের সংগঠন নারী মুক্তি সংঘ সূত্র জানায়, যৌনপল্লিতে পাঁচ শতাধিক যৌনকর্মী রয়েছেন। এ ছাড়া যৌনপল্লির ভেতর তাঁদের সন্তানাদি এবং সাবেক অনেক যৌনকর্মী রয়েছেন। এই যৌনপল্লিতে বিভিন্ন এলাকার অনেক মানুষ যাতায়াত করে। তাই এই পল্লিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। এ জন্যই সেখানে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব ধরনের যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নারী মুক্তি সংঘের সভাপতি আকলিমা বেগম জানান, যৌনপল্লি বন্ধ করায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে যৌনকর্মীরা রক্ষা পাবেন। কিন্তু যৌনকর্মীদের দৈনিক ঘরভাড়া এবং আনুষঙ্গিক খরচ জোগাড় করা কষ্ট হবে। মানবিক কারণে এ বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য তিনি প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।