শহরে জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বুধবার সন্ধ্যার দিকে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। পরে তাঁর বাড়িসহ আশপাশের ছয়টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম শাহ আলম (৪৫)। তিনি শহরের ঢাকা রোড বিশ্বাস বেতকা এলাকার বাসিন্দা। জ্বর শ্বাসকষ্ট নিয়ে সন্ধ্যার পর তাঁকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে তাঁকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেখানে রওনা হওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের পরামর্শক সুজাউদ্দিন তালুকদার বলেন, আগে থেকেই শাহ আলমের অ্যাজমা সমস্যা ছিল। কয়েক দিন যাবৎ তিনি জ্বর, শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। রোগীর স্বজনেরা তাঁকে এসব কথা জানিয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর অবস্থার অবনতি হলে অ্যাম্বুলেন্সযোগে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। অ্যাম্বুলেন্সেই তাঁকে পরীক্ষা করে দেখা যায়, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। তাঁকে আইসিইউতে রাখার প্রয়োজন ছিল। টাঙ্গাইলে যেহেতু আইসিইউ সুবিধা নেই, তাই তাঁকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরেই তাঁর মৃত্যু হয়।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, শাহ আলমের করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছিল। পরীক্ষার জন্য বুধবার দুপুরে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। এরপর রাতে শাহ আলমের মৃত্যুর খবর আসে। তাঁর বাড়ি এবং আশপাশের আরও পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। রাতেই লাশ বিশেষ ব্যবস্থায় টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।