টাঙ্গাইলে নতুন করে আরও পাঁচজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট সাতজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন।
নতুন আক্রান্ত পাঁচজনের তিনজনই ভূঞাপুর উপজেলার। বাকি দুজন নাগরপুর ও মধুপুর উপজেলার। তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পর তাঁদের বাড়ি এবং গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে।
আক্রান্ত পাঁচজনের মধ্যে চারজন ঢাকা থেকে এবং একজন নারায়ণগঞ্জ থেকে টাঙ্গাইল জেলায় বাড়িতে এসেছিলেন। বাড়িতে আসার পর তাঁদের করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়। পরে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়।
পরীক্ষার পর গতকাল রোববার রাতে আইইডিসিআর থেকে মুঠোফোনে খুদে বার্তায় টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জনকে তাঁদের আক্রান্তের বিষয়টি জানানো হয়। আক্রান্ত পাঁচজনের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাম্মৎ নাসরিন পারভীন জানান, এ উপজেলার আক্রান্ত তিনজনের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তাঁদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা জানান, এ উপজেলার আক্রান্ত ব্যক্তি পোশাক কারখানার কর্মী। তিনি ঢাকা থেকে কয়েক দিন আগে বাড়িতে আসার পর তাঁর করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়। পরে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে তাঁকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর তাঁর বাড়ি এবং আশেপাশের ১০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ ফয়জুল ইসলাম জানান, ঢাকার বাংলাবাজার থেকে বই বাঁধাইয়ের তরুণ শ্রমিক উপজেলায় আসার পর তাঁর করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়। নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ওই তরুণের বাড়িসহ ৩০টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনাভাইরাস ইউনিটে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
এর আগে মির্জাপুর ও ঘাটাইলে দুই ব্যক্তির করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।