টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কোভিডে আক্রান্ত

মো. আতাউল গনি
মো. আতাউল গনি

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনিসহ আজ মঙ্গলবার ৫২ জনের শরীরের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়াল।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় কোভিডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত ৮ এপ্রিল প্রথম জেলায় কোভিড রোগী শনাক্ত হয়। এপ্রিলে আক্রান্ত হয় ২৪ জন। মে মাসে রোজার ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ৯৬। কিন্তু পরবর্তী এক সপ্তাহে রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয় ১৬৫। গত ৩০ জুন পর্যন্ত আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬১২। আর জুলাই মাসের ২৮ দিনেই ৯০৩ জন আক্রান্ত হয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫১৫।

আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৩৯ জন, মির্জাপুরে ৩৬৬, নাগরপুরে ৫২, দেলদুয়ারে ৬৪, সখীপুরে ৬৫, বাসাইলে ৪১, কালিহাতীতে ৭৭, ঘাটাইলে ৫৩, মধুপুরে ১০২, ভূঞাপুরে ৬১, গোপালপুরে ৫৫ ও ধনবাড়ীতে ৪০ জন।

আজ নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়াও রয়েছেন।

আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮৫৩ জন। চিকিৎসাধীন ৬৩৭ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ২৫ জন। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, সদর উপজেলায় আক্রান্ত ৫৩৯ জনের বেশির ভাগই পৌর এলাকায়। গত এক সপ্তাহে শহরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সাংসদ, চিকিৎসক, পুলিশ, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকজন রয়েছেন।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রামপদ রায় জানান, কমিউনিটি ট্রান্সমিশন (সামাজিক সংক্রমণ) কমাতে হলে সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো বিকল্প নেই। প্রত্যেককে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়াই নিরাপদ।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ও জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব মো. ওয়াহীদুজ্জামান জানান, এখন টাঙ্গাইলে ‘পিক আওয়ার’ চলছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা এবং সচেতনতার অভাবে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। তবে সুস্থতার হার সন্তোষজনক বলেও তিনি মনে করেন।