টক দইয়ের প্রসিদ্ধ 'ঘোল'

ইফতারে প্রসিদ্ধ টক দইয়ের ঘোল। গতকাল সন্ধ্যায় বগুড়ার জলেশ্বরীতলার একটি রেস্তোরাঁয়। ছবি: সোয়েল রানা
ইফতারে প্রসিদ্ধ টক দইয়ের ঘোল। গতকাল সন্ধ্যায় বগুড়ার জলেশ্বরীতলার একটি রেস্তোরাঁয়।  ছবি: সোয়েল রানা

পবিত্র রমজান মাসে রোজাদারদের ইফতার আয়োজনে থাকছে টক দইয়ের সুস্বাদু ঘোল। বগুড়ার ঐতিহ্য হলো প্রসিদ্ধ দই। আর ইফতারির ঐতিহ্য টক দইয়ের ঘোল।

প্রায় ৫০ বছর ধরে ধনী-গরিব, মধ্যবিত্ত কিংবা শ্রমজীবীদের পারিবারিক বা ঘরোয়া ইফতার আয়োজনে, হোটেল-রেস্তোরাঁ কিংবা অভিজাত মোটেলের পার্টিতে টক দইয়ের প্রসিদ্ধ ঘোল ইফতারের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হিসেবে পরিবেশন করা হচ্ছে। এবার গ্রীষ্মকালে রমজান হওয়ায় টক দইয়ের সুস্বাদু ঘোলের কদর বেড়েছে।

ফুটপাত থেকে শুরু করে শহরের অভিজাত ও প্রসিদ্ধ দইয়ের দোকানগুলোতে টক দইয়ের মাটির হাঁড়ি সাজিয়ে বসছেন দোকানিরা। ভাঁড়ে করেও বিক্রি হচ্ছে টক দইয়ের হাঁড়ি। দোকান থেকে টক দই কিনে বাসায় গিয়ে ইফতারি আয়োজনে সুস্বাদু ঘোল তৈরি করা হচ্ছে। আবার দোকানে দোকানে বোতলজাত ঘোলও মিলছে। ইফতারিতে সেই ঘোল রোজাদারদের প্রাণ জুড়াচ্ছে।

এবার প্রসিদ্ধ দোকানগুলোতে প্রতি হাঁড়ি টক দই (আনুমানিক ৫০০ গ্রাম) ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং ফুটপাতে দইওয়ালারা প্রতি হাঁড়ি দই ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। ২৫০ গ্রামের ছোট হাঁড়ি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্লাস্টিকের বোতলজাত প্রসিদ্ধ ঘোল আধা লিটার ৫০ টাকা এবং এক লিটার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বগুড়া শহরের প্রসিদ্ধ দইয়ের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, শহরের সাতমাথায় দই ঘর, শেরপুর দই ঘর, আলহাজ মহরম আলী দই ঘর, আদি মহরম আলী দই ঘর, রফাত দই ঘর, চিনিপাতা দই, কবি নজরুল ইসলাম সড়কে আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল, শ্যামলী হোটেল, এশিয়াসহ ফতেহ আলী বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানে টক দই বিক্রি হচ্ছে।

সাতমাথার প্রসিদ্ধ দইয়ের দোকান চিনিপাতা দইয়ের মালিক মুক্তার হোসেন বলেন, রোজার মাসে প্রতিদিন গড়ে ১৫০ হাঁড়ি টক দই বিক্রি হচ্ছে। শেরপুর দই ঘরের ব্যবস্থাপক শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন গড়ে ১০০ হাঁড়ি টক দই বিক্রি হচ্ছে এই দোকানে।

বগুড়ার ইফতারির ঐতিহ্য প্রসিদ্ধ টক দইয়ের ঘোল। তবে ইফতারিতে বেশ জনপ্রিয় বোরহানি, দইবড়া, লাচ্ছি, ফালুদা, চিকেন ললিপপ, মাংসের চাপ, শিক কাবাব, চিকেন গ্রিল, শরমা কাবাব, বুন্দিয়া, স্পেশাল হালিম, শাহি জিলাপি, ঝুরি চানাচুর, বেগুনি, পিঁয়াজি তো রয়েছেই।