ঝিনাইদহে শুক্রবার করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমিত হয়ে তিনজন মারা গেছেন। এর মধ্যে একজন ঝিনাইদহ ট্রাফিক পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম (৫৫), আরেকজন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান (৬২) এবং অপরজন শহরের আরাপপুর খাঁ পাড়ার বৃদ্ধ সিতাব উদ্দীন (১০৪)।
এ নিয়ে ঝিনাইদহ জেলায় সরকারি হিসেবে করোনায় সংক্রমিত হয়ে ১৬ জন মৃত্যুবরণ করলেন। তবে স্থানীয়দের মতে, মৃত্যুর সংখ্যা ২০, যাঁদের মধ্যে ৫ জন ঝিনাইদহে আক্রান্ত হলেও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তির পর মৃত্যুবরণ করেছেন।
মারা যাওয়া এসআই শরিফুল ইসলাম মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বদনপুর গ্রামের মৃত দলিল উদ্দীন বিশ্বাসের ছেলে। তিনি করোনায় সংক্রমিত হয়ে গত ৯ জুলাই ঝিনাইদহ কোভিড হাসপাতালে (শিশু হাসপাতাল) ভর্তি হন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে মারা যান।
ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বয়ড়াতলা গ্রামের মৃত বাবর আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে হামদহ এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি প্রথম জীবনে জেলা পর্যায়ে একজন পেশাদার ফুটবলার ছিলেন। তিনি যশোর থেকে প্রকাশিত তৎকালীন জনপ্রিয় দৈনিক রানার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। ১৯৮৩-৮৪, ১৯৮৪-৮৫ ও ১৯৮৬-৮৭ সালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি এক মেয়াদে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হাফিজুর রহমান করোনায় সংক্রমিত হয়ে গত ১ জুলাই ঝিনাইদহ কোভিড-১৯ হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর তিনি ৮ দিন সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ১৭ জুলাই তাঁকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে তিনি মারা যান।
এদিকে ঝিনাইদহ পৌরসভার আরাপপুর খাঁ পাড়ার বৃদ্ধ মো. সিতাব উদ্দীন গত ১৭ জুলাই করোনায় সংক্রমিত হয়ে ঝিনাইদহ কোভিড হাসপাতাল ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।