সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্যফেরত এক ব্যক্তির জ্বর ধরা পড়ায় তাঁকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। একই হাসপাতালের কোয়ারেন্টিনে থাকা আরেক যুক্তরাজ্যপ্রবাসীর শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে যুক্তরাজ্য থেকে বিমানের একটি ফ্লাইট সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩১ যাত্রী নিয়ে নামে। বিমানবন্দরে যাত্রীদের স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়। এ সময় যুক্তরাজ্যফেরত এক যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকায় তাঁকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। যুক্তরাজ্যফেরত ওই যাত্রীর বয়স ষাটোর্ধ্ব। তাঁর স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন। স্ত্রীকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক হিমাংশু লাল রায় বলেন, বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যফেরত এক ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টিনে ভর্তি করা হয়েছে। ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের কোয়ারেন্টিনে থাকা আরেক প্রবাসীর (৫৫) শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। দুপুরে ঢাকার জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) থেকে রক্ত পরীক্ষার ফলাফল সিলেটে পাঠানো হয়। গত মঙ্গলবার রাতে ওই প্রবাসীর রক্তের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে ওই প্রবাসী ভর্তি হন। তিনি সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার বাসিন্দা। ৪ মার্চ তিনি দেশে ফেরেন। দেশে ফেরার পর থেকে তিনি জ্বর, সর্দি–কাশিতে ভুগছিলেন।
শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুশান্ত কুমার মহাপাত্র বলেন, হাসপাতালের কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রবাসীর শরীরে করোনাভাইরাস না পাওয়ায় তাঁকে ছাড়পত্র দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের কোয়ারেন্টিনে বর্তমানে নতুন করে যুক্তরাজ্যফেরত এক প্রবাসী চিকিৎসাধীন। তাঁর জ্বর রয়েছে। প্রবাসীর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করতে আইইডিসিআরকে জানানো হয়েছে।