চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর ধানের শীষ প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও টিভি লুটের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার রাতে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় বিএনপি এই ঘটনার জন্য নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের দায়ী করলেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচন। নির্বাচনে মেয়র পদে পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (নৌকা), পৌর বিএনপির সভাপতি শাহজাহান কবীর (ধানের শীষ) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারি খোকন মিয়া (হাতপাখা) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে মূল আলোচনায় রয়েছেন ধানের শীষ ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তফসিল ঘোষণার পর জীবননগর পৌরসভায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। সবকিছুই চলছিল স্বাভাবিকভাবে। এর মাঝে রোববার রাত আটটার দিকে ধানের শীষের প্রধান কার্যালয়ে হামলার পর পরিস্থিতি নতুন মোড় নিয়েছে। একধরনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী শাহজাহান কবীরের অভিযোগ, গতকাল রাত আটটার দিকে তিনি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা করছিলেন। সে সময় অন্তত ১৫ জন মোটরসাইকেলে এসে কার্যালয়ের সামনে থামেন এবং কার্যালয়ে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর চালান। যাওয়ার সময় তাঁরা কার্যালয় থেকে একটি এলইডি টিভি মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যান এবং পোস্টারে আগুন ধরিয়ে দেন।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘অসুস্থ রাজনীতির দিন শেষ। আমার জানামতে, আওয়ামী লীগের কেউ আত্মঘাতীমূলক এ ধরনের হামলা করতে পারেন না।’
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম হামলা–ভাঙচুরের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে ভাঙচুর ও পোস্টারে আগুন দেওয়ার খবরের সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।