জামালপুরের দুই উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে আজ রোববার সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তবে বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকার সিল মারা ও ব্যালট ছিনতাই নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছুড়েছে পুলিশ। একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর বরুঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দুটি ব্যালট বই ও সিল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলে ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এ এস এম সোজাউদৌল্লা ভোট গ্রহণ স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একই উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের চারালদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া চরবানী পাকুরিয়া ও কুলিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ভোটারদের নৌকার ব্যালট না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ভোটাররা।
দুপুর ১২টার দিকে ইসলামপুর উপজেলার সুরুজাহান উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করে নৌকা প্রতীকে সিল দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষের ঘটনার ৪৫ মিনিট পর আবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
আব্বাস আলী নামের ইসলামপুর উপজেলার সুরুজাহান উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের একজন ভোটার বলেন, আজ ভোররাত থেকে শত শত ভোটার এই কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন। সবাই সারিবদ্ধ হয়ে ভোট দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে রয়েছেন। নিজেরা নিজেদের ভোট দিতে পারলেই সবারই অনেক ভালো লাগবে।
জামালপুরের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (ইসলামপুর সার্কেল) মো. সুমন মিয়া বলেন, ইসলামপুরে ছয়টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যাপক ভোটার উপস্থিত লক্ষ করা যাচ্ছে। সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। তবে পুলিশ তা কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ইসলামপুর ও মেলান্দহের ১৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন হচ্ছে। সবগুলো ইউনিয়নেই অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হচ্ছে। কোথাও বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। দু–একটি কেন্দ্রে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে সেগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।