জামালপুরে আ.লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভাঙচুরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রচারকেন্দ্র ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার রাতে হামিদপুর এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনীকেন্দ্র ভাঙচুরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ১২টায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলম মিয়ার কর্মী-সমর্থকেরা হামিদপুর এলাকায় একটি উঠান বৈঠক করছিলেন। বৈঠক থেকে কিছু কর্মী-সমর্থক রাস্তায় এলে বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকেরা মারধর করেন।

সেখান থেকে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা চলে আসার পর হামিদপুর এলাকায় থাকা দুটি প্রচারকেন্দ্রের মধ্যে একটিতে অগ্নিসংযোগ ও আরেকটি ভাঙচুর করা হয়। এতে ছাত্রলীগের ওই দুই নেতা আহত হয়েছেন। গোদাশিমলা বাজারে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ উদ্দিনের মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ওই রাতেই বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের বাদেচান্দি, খলিশাকুড়ি, উত্তরপাড়া, মুকুলবাজার, হামিদপুর, টেংঘরপাড়া, তালতলা ও শরিফপুর এলাকার প্রচারকেন্দ্র ভাঙচুর করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা। এ সময় আহত হন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য ইসমাইল হোসেন (২৫) ও মন্নু মিয়া (২৬)। তাঁদের জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলম মিয়া মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বিজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকেরা অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। একটি প্রচারকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। দুটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমার কর্মীর মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ছাত্রলীগের দুজনকে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাধারণ ভোটাররা ওই প্রার্থীকে এখন আর চান না। যেখানে মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাচ্ছেন, সেখানে ভোটাররা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। নিজেরাই ভেঙে আমাকে দোষারোপ করেন। গতকাল রাতে আমার আটটি প্রচারকেন্দ্র ভাঙচুর করেছেন ওই প্রার্থীর কর্মী–সমর্থকেরা।’

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, ওই ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্রে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়। ওই এলাকায় এখনো পুলিশ আছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কেউ কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।