দুই একর জমির রোপা আমন ধানের চারা নষ্ট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
দুই একর জমির রোপা আমন ধানের চারা নষ্ট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

জমি ফিরে পেলেও চারা নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা

বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামের দুই একর জমির রোপা আমন ধানের চারা নষ্ট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ইউপি সদস্য মাসুদ মৃধার নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা গতকাল শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন জমির মালিক আজাহার মোল্লা। তবে মাসুদ মৃধা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামের আশু সরদার ৭ একর ২৩ শতাংশ জমি রেখে মারা যান। উত্তরাধিকার সূত্রে ওই জমির মালিক জয়ফুল বিবি।  ভুয়া দলিলমূলে নবী নেওয়াজ খানের ওয়ারিশ আনসার খান এ জমি নিজের দাবি করে জোরপূর্বক ভোগদখল করে আসছিলেন।

এ ঘটনায় ২০০৭ সালে জয়ফুল বিবি বাদী হয়ে আমতলী সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। ১৩ বছর পরে জয়ফুল বিবির পক্ষে রায় হয়। আদালতের নির্দেশানুসারে ওই জমি জয়ফুল বিবির ওয়ারিশ আজাহার মোল্লা ভোগদখলে নেন। এ বছর ওই জমির ২ একরে আমন চারা রোপণ করা হয়।

আজাহার মোল্লা বলেন, ‘আদালতের রায় পেয়ে জমি চাষাবাদ শেষে আমন ধানের চারা রোপণ করেছি। ইউপি সদস্য মাসুদ মৃধা এবং বারেক খান, খালেক খান, মাহতাব খান, মাহবুব মৃধা, জব্বার মৃধা, হারুন বিশ্বাসসহ তাঁদের লোকজন রাতের আঁধারে সব চারা নষ্ট করে দেন। দুর্বৃত্তরা কিছু চারা উপড়ে ফেলে, কিছু কেটে ফেলে আবার কিছু ভেঙে দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইউপি সদস্য মাসুদ মৃধা আমাকে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে।’

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মাসুদ মৃধা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই খানে আমার কোনো জমি নেই। তবে আমার বড় ভাইয়ের জমি আছে।’

আমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা বলেন, খবর পেয়ে ওসির নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চারা উপড়ে ফেলার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।