নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক কিশোর, তাঁর মা, বাবা ও চাচাকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এতে গুরুতর আহত ওই কিশোর গতকাল শনিবার রাত ১১টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
মারা যাওয়া ওই কিশোরের নাম সাদিকুল ইসলাম (১৭)। সে উপজেলার ব্রাহ্মণখালী এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় কাঞ্চন সলিমউদ্দিন চৌধুরী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন নিহত ওই কিশোরের বাবা জহিরুল ইসলাম (৩৮), মা জোসনা বেগম (৩২), ছয় মাস বয়সী বোন নুসরাত জাহান ও চাচা শাহিদুল ইসলাম (৩২)। শিশু নুসরাত ছাড়া বাকি সবাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
ওই ঘটনায় গতকাল রাতে নিহত কিশোরের অপর চাচা সানোয়ার ইসলাম রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছেন। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে ব্রাহ্মণখালী এলাকার মিঠু (৪৮), গিয়াসউদ্দিন (৬৫), রফিকুল ইসলাম (৪৭), রুবেল মিয়া (৩৫), মো. মোবারক (২৮), মোবারকের স্ত্রী কাকলী বেগম (২৬), মিঠুর স্ত্রী মিনারা বেগম (৪০) ও গাজীপুরের কালিগঞ্জ এলাকার খায়রুল (৪০) ও হুমায়ুনকে (৩৮)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে সাদিকুল ইসলামের অসুস্থ বোন নুসরাতকে নিয়ে তাঁর মা চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছিলেন। জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁদের গতিরোধ করে মারধর করেন। খবর পেয়ে সাদিকুল, তাঁর বাবা ও চাচা ঘটনাস্থলে এলে তাঁদেরও মারধর করা হয় এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। স্থানীয় লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকার ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। অবস্থা আরও খারাপ হলে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির প্রথম আলোকে বলেন, মারধরের অভিযোগ পাওয়ার পর রাতে গিয়াসউদ্দিন নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। অভিযোগের পর সাদিকুলের মৃত্যু হওয়ায় এ ঘটনায় নতুন করে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। সাদিকুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।