‘এত ভালো বক্তৃতা করি, কোনোটা পত্রপত্রিকা লেখে না। লাঠি থিওরি ঠিকই লিখছে। ভাই, মাঝেমধ্যে তো লাঠি থিওরি বক্তৃতা উচিত তাইলে। আজকে যেটা বক্তৃতা করব, এটা কিন্তু কেউ লিখবে না।’ রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী আজ মঙ্গলবার পৌর এলাকার সংলগ্ন বাধাইড় ইউনিয়নের একটি জনসভায় তাঁর ভাইরাল হওয়া বক্তৃতার প্রসঙ্গ টেনে এ কথা বলেন।
রাজশাহীর মুণ্ডমালা পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে তৃতীয় ধাপে—৩০ জানুয়ারি। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী সাইদুর রহমানের উদ্দেশে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী আজ বাধাইড়ের জনসভায় বক্তব্য দেন। গত রোববার দুবইল উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে নির্বাচন নিয়ে তাঁর দেওয়া বক্তৃতা ভাইরাল হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি এই বক্তৃতা করেন।
আমাকে আর কথা বলাইয়েন না। এমনি সেদিন দুবইল মাঠে বক্তৃতা দিয়েছি, সেটা নাকি ভাইরাল হয়েছে। সাংবাদিকেরা ফোন করতেছে আর বলতেছে, আপনি কী লাঠি থিওরি দিয়েছেন। আমি বললাম, ভাই লাঠি থিওরি তো আমি কিছু দিইনি। আমি বলেছি, ’০৮ সালে আমরা আমাদের ভোট রক্ষা করার জন্য লাঠি দিয়ে পাহারা দিয়েছিলাম। এবারও আমাদের জনগণের ভোট রক্ষা করার জন্য সেই রকম থিওরি নিতে হতে পারে।ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সাংসদ
সন্ধ্যার আগে দেওয়া প্রায় ১৯ মিনিটের বক্তৃতায় সাংসদ ওমর ফারুক বলেন, ‘আমাকে আর কথা বলাইয়েন না। এমনি সেদিন দুবইল মাঠে বক্তৃতা দিয়েছি, সেটা নাকি ভাইরাল হয়েছে। সাংবাদিকেরা ফোন করতেছে আর বলতেছে, আপনি কী লাঠি থিওরি দিয়েছেন। আমি বললাম, ভাই লাঠি থিওরি তো আমি কিছু দিইনি। আমি বলেছি, ’০৮ সালে আমরা আমাদের ভোট রক্ষা করার জন্য লাঠি দিয়ে পাহারা দিয়েছিলাম। এবারও আমাদের জনগণের ভোট রক্ষা করার জন্য সেই রকম থিওরি নিতে হতে পারে। অথবা কেউ যদি খারাপ ব্যবহার করে বা চোখ রাঙায়, তাইলে আপনাদের লাঠি দিয়ে আপনাদের রক্ষা করবেন। এই তো বক্তৃতা। এত ভালো বক্তৃতা করি, কোনোটা পত্রপত্রিকা লেখা না। লাঠি থিওরি ঠিক লিখছে। ভাই মাঝেমধ্যে তো লাঠি থিওরি বক্তৃতা উচিত তাইলে।’
সাংসদ বলেন, ‘আজকে যেটা বক্তৃতা করব, এটা কিন্তু কেউ লিখবে না। সাইদুরের মতো একটা লোক মেয়র হওয়া মানে আমাদের মুখে চুনকালি মাখা। সে নাকি একটা কলেজের প্রফেসর! আসলে সে কলেজে রাতের পাহারাদারের চাকরি করে। সে মেয়র হলে এ রকম একটা লোকের কাছ থেকে আমার-আপনার চারিত্রিক সার্টিফিকেট নিতে হবে। একবার ভাবুন ব্যাপারটা। ওর বউ পৌরসভাতে আড়াই কোটি টাকার ঠিকাদার। পৌর আইন অনুযায়ী সে পৌরসভার নির্বাচন করতে পারে না। তথ্য গোপন করে নির্বাচনে গেছে। মানে স্বামী হবে মেয়র, বউ হবে ঠিকাদার। আপনারা কী হবে বুঝতে পারছেন? মুণ্ডমালার মতো পৌরসভাতে একজন ওই রকম মানুষ মেয়র হলে আপনারা যাঁরা এখানে উপস্থিত আছেন, তেনারা কি সম্মানিত বোধ করবেন? করবেন কেউ?’ এ সময় উপস্থিত লোকজন বলেন ‘না না’।
সাংসদ বলেন, ‘আমাদের এই সামগ্রিক বিপদ থেকে যুদ্ধ করে আমার আমিন ভাইকে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী করবেন।’