সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। লাখো মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। আশ্রয়ের খোঁজে অনেকে ছোটাছুটি করছে। তাদের কাছে নেই পর্যাপ্ত খাবার।
উপজেলা নির্বাহী প্রশাসন সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও মানুষের বাসাবাড়িতে লোকজন আশ্রয় নিচ্ছে। তিন দিন ধরে জগন্নাথপুর উপজেলার বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগে রয়েছে উপজেলাবাসী। নেই মুঠোফোন নেটওয়ার্ক।
জগন্নাথপুর বিদ্যুৎ কার্যালয়ের আবাসিক প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম বলেন, সিলেট বড়ইকান্দি সাবস্টেশন থেকে জগন্নাথপুর উপজেলার বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সাবস্টেশনে পানি ঢুকে পড়ায় বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কবে সংযোগ পাওয়া যাবে, তা বলা যাচ্ছে না।
আজ শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, জগন্নাথপুর বাজারের অধিকাংশ দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়েছে। কথা হয় মন্দিরবাড়ি আবাসিক এলাকায় বাসিন্দা প্রদীপ দাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, এক রাতের বৃষ্টিতে সব তলিয়ে গেছে। কোনোরকমে পরিবারের লোকজনকে নিয়ে বের হয়ে এসেছেন। এখন বাসুদেবমন্দিরে আশ্রয় নিয়েছেন।
জগন্নাথপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মনোরঞ্জন তালুকদার বলেন, ২০০৪ সালের বন্যার চেয়েও এবারের বন্যা পরিস্থিতি খারাপ। ঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম বলেন, সরকারিভাবে ৪৩ মেট্রিক টন চাল ও ১ হাজার ১০০ মেট্রিক টন শুকনো খাবার পেয়েছেন। প্রচণ্ড বৃষ্টি ও পরিবহনের সুব্যবস্থা না থাকায় বন্যাকবলিত মানুষের মধ্যে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না। তারপরও তাঁরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।