এমসি কলেজে তরুণী ধর্ষণ

ছয় আসামির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ

প্রথম সারিতে বাঁ থেকে সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম ও শাহ মাহবুবুর রহমান দ্বিতীয় সারিতে বাঁ থেকে অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান
সংগৃহীত

সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ছয় আসামির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় পুলিশি পাহারায় তাঁদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) ল্যাবে ছয়জনের ডিএনএ নেওয়া হয়।

হাসপাতালের উপপরিচালক হিমাংশু লাল রায় জানিয়েছেন, দুপুর সাড়ে ১২টায় ছয়জনকে পুলিশি পাহারায় ওসিসিতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ডিএনএ ল্যাবে নেওয়া হয়। একজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে পরীক্ষা সম্পন্ন করে বেলা দেড়টার দিকে হাসপাতাল থেকে তাঁদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোতির্ময় সরকার প্রথম আলোকে বলেন, এজাহারভুক্ত চার আসামিসহ মোট ছয়জনের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে। এজাহারভুক্ত অপর দুই আসামি তারেকুল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান সর্বশেষ পর্যায়ে গ্রেপ্তার হওয়ায় ও রিমান্ডে নেওয়ায় তাঁদের ডিএনএ পরে নেওয়া হবে।

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গত শুক্রবার রাতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগের একটি পক্ষের কর্মী হিসেবে পরিচিত সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, শাহ মো. মাহবুবুর রহমান ওরফে শাহ রনি ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুমকে এজাহারভুক্ত আসামি করে মামলা হয়। মামলার এজাহারের বাইরে আরও দু-তিনজনকে আসামি করা হয়। নগরীর বাইরে পালাতক থাকা অবস্থায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও র‌্যাব।

মামলায় এজাহারভুক্ত ছয়জন আসামিসহ মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এজাহারের বাইরে আইনুদ্দিন ও মিসবাহউর রহমান ওরফে রাজনকেও রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাঁরা সবাই এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে অবস্থান নেওয়া ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হিসেবে পরিচিত। প্রথম পর্যায়ে গ্রেপ্তার হওয়া প্রধান আসামি সাইফুর রহমানসহ তিনজনকে সোমবার, দ্বিতীয় ধাপে সন্দেহভাজন দুই আসামিসহ তিনজনকে মঙ্গলবার, তৃতীয় পর্যায়ে তারেকসহ দুজনকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।