গাজীপুরের শ্রীপুরের খর্বাকৃতির বাছুর টুনটুনিকে দেখতে কৃষকের বাড়িতে গিয়েছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের হায়াতখারচালা গ্রামের কৃষক মো. আবুল কাশেমের বাড়িতে যান তাঁরা।
পরিদর্শন শেষে ইউএনও তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এই বাছুর গবেষণার দাবি রাখে। এর ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম। গবেষণা থেকে হয়তো এর পেছনের কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে সাভারের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
এদিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান বলেন, ‘আজ সরেজমিন দেখে মনে হচ্ছে এটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখাতে পারবে। আমরা এ বিষয়ে উদ্যোগ নেব। দেশি বাছুর হিসেবে এর ওজন অনেক কম। উচ্চতাও অস্বাভাবিক। সম্প্রতি রানি নামের একটি গরু সবচেয়ে ছোট গরুর রেকর্ড গড়েছে। তবে সেটি মারা গেছে। জীবিত গরুগুলোর মধ্যে টুনটুনি এখন সবচেয়ে ছোট গরুর স্বীকৃতি পেতে পারে।’
উল্লেখ্য, ১ বছর ২ মাস বয়সী দেশি জাতের বাছুর টুনটুনির ওজন মাত্র ২৩ কেজি। যদিও গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখানো রানির চেয়ে দেশি জাতের এই বাছুরের উচ্চতা বেশি। রানির উচ্চতা ছিল ২০ ইঞ্চি। আর টুনটুনির উচ্চতা ২২ ইঞ্চি। রানির আগে ২০১৪ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে নাম লিখিয়েছিল ভারতের কেরালা রাজ্যের মানিকিয়াম নামের একটি গরু। এটির উচ্চতা ছিল ২৪ দশমিক শূন্য ৭ ইঞ্চি।