রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ট্রাকচাপায় বিথী আক্তার (২৪) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। চার মাস বয়সী ছেলেকে চিকিৎসক দেখাতে স্বামীর মোটরসাইকেলে করে রংপুরে যাচ্ছিলেন তিনি। মোটরসাইকেল থেকে পড়ে বিথীর স্বামী-সন্তান আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান জেনেপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বিথীর স্বামী রফিক ইসলাম (২৯) ও ছেলে রাইয়ান আফছারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বজন, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিথীর বাড়ি ইউনিয়নের পাইকান হাজীপাড়া গ্রামে। চার মাসের রাইয়ানের কয়েক দিন ধরেই কাশি। তাই তাকে নিয়ে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্দেশে বের হন বিথী ও রফিক। সকাল ১০টার দিকে পাইকান জেনেপাড়া গ্রামের কাছে পৌঁছালে সড়কে থাকা একটি ছাগলকে পাশ কাটিয়ে যেতে চাইলে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান তারা। এ সময় অপর দিক থেকে আসা একটি ট্রাক বিথী আক্তারকে চাপা দিয়ে চলে যায়।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুলাল হোসেন বলেন, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ঘটনাস্থল থেকে নিহত ব্যক্তির পরিবারের লোকজন লাশ নিয়ে নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি।
পাইকান হাজীপাড়া গ্রামে নিহত বিথী আক্তারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিবেশী ও স্বজনেরা বাড়িতে ভিড় করেছেন। মেয়ের লাশের পাশে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন মা মনোয়ারা বেগম। জ্ঞান ফিরলেই আরেক মেয়ে সুমি আক্তারকে জড়িয়ে ধরে বিলাপ করছিলেন, ‘আল্লাহ এ কোন পরীক্ষা নিল। আমাকে থুই মেয়েটাক কাড়ি নিল।’
নিহত বিথী আক্তারের বাবা বেলাল হোসেন বলেন, এক বছর আট মাস আগে বিথীর বিয়ে হয়। চার মাস আগে জন্ম হয় রাইয়ানের। ট্রাকের চাপায় মেয়েটা কোলের শিশুকে রেখে মারা গেল। বাবা হয়ে এই কষ্ট সহ্য করার মতো না।