হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ভাগনের ছুরিকাঘাতে মামি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পূর্ব বাগুনীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সকালে অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত মামির নাম মিনা বেগম (৩০)। তিনি পূর্ব বাগুনীপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক ইউনুস আলীর স্ত্রী। গ্রেপ্তার ওই যুবক হলেন ইউনুস আলীর ভাগনে এমরান মিয়া। তিনি চুনারুঘাট উপজেলার লালিয়ারপাড় গ্রামের বাসিন্দা।
ইউনুস আলী দাবি করেন, তাঁর ভাগনে এমরান মিয়া মাদকাসক্ত। এ ছাড়া এমরান চুরিসহ নানা অসামাজিক কাজে জড়িত। নেশার জন্য টাকা প্রয়োজন হলেই এমরান তাঁর বাড়িতে এসে উৎপাত করতেন। নেশার টাকা যোগাতে এমরান কিছুদিন আগে তাঁর তিনটি ভ্যান গাড়ি চুরি করে বিক্রি করে দেন। এ নিয়ে গতকাল দুপুরে এমরানের সঙ্গে তাঁদের কথা–কাটাকাটি হয়।
ইউনুস আলী বলেন, প্রতিদিনের মতো তাঁর স্ত্রী রাতের খাবার শেষ করে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ তাঁর স্ত্রী ‘বাঁচাও, বাঁচাও’ বলে চিৎকার শুরু করেন। তখন তিনি ও পরিবারের অন্য লোকজন গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। হাসপাতালে নেওয়ার আগে তাঁর স্ত্রী বলেছেন, এমরান তাঁকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়েছেন।
তবে আহত মিনা বেগমকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পরই তাঁর মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা রেজা হাসান বলেন, মিনাকে জীবিত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও চিকিৎসা শুরুর আগেই তিনি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা গেছেন। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
এদিকে ঘটনার পর আজ সোমবার সকালে অভিযুক্ত এমরান মিয়াকে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে আটক করেছে পুলিশ।
জানতে চাইলে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বলেন, অভিযুক্ত ওই যুবকে পুলিশ আটক করেছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে মিনার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।