সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ

ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার রাতেই প্রাণ গেল আলাউদ্দিনের

চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান আলাউদ্দিন
ছবি: সংগৃহীত

স্বজনদের সঙ্গে এক সপ্তাহের ছুটি কাটিয়ে গতকাল শনিবার কর্মস্থল চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশনে যোগ দিয়েছিলেন আলাউদ্দিন। কিন্তু এবার যখন তিনি বাড়ি ফিরবেন, তখন আর কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার তাড়া থাকবে না।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন নেভাতে গিয়ে আজ রোববার সকালে নিহত হয়েছেন কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান আলাউদ্দিন। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা গ্রামে। পরিবারে তাঁর স্ত্রীসহ ছয় বছরের এক ছেলে আছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনঃ

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে হতাহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা ডিপোর মালিকপক্ষের

সীতাকুণ্ডের ঘটনায় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আছে কি না, দেখার দাবি হারুনের

‘বিকট শব্দে কানে তালা লাইগা গেল, উইঠা দেখি, গায়ে রক্ত’

ডিপোর রাসায়নিক সাগরে যাওয়া ঠেকাতে বাঁধ

সীতাকুণ্ডে আগুনের ঘটনায় পৃথক ৪ তদন্ত কমিটি

আলাউদ্দিনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর বড় ভাই জহির উদ্দিন। তিনি বলেন, আলাউদ্দিনের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণকক্ষ। তবে এ প্রক্রিয়া কখন শেষ হবে, তা জানানো হয়নি।

মৃত্যুর খবর পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে শোকের মাতম শুরু হয় আলাউদ্দিন গ্রামের বাড়িতে। স্ত্রী তাসলিমা সুলতানা স্বামীর জন্য বিলাপ করতে করতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। ছয় বছরের ছেলে বাবা মারা যাওয়ার খবরে মা ও দাদা-দাদির কান্না দেখে নিজেও সারাক্ষণ কান্নাকাটি করছে।

চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম মোসা প্রথম আলোকে বলেন, আলাউদ্দিনের লাশ কখন হস্তান্তর করা হবে, সে বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না। উনি যেহেতু সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন, প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ীই সবকিছু করা হবে।