নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় এক দোকানের কর্মচারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় সোনারগাঁ থানা কমপ্লেক্স থেকে কয়েক শ মিটার দূরে সোনারগাঁ থানা রোডের আয়েশা আমজাদ ক্লিনিকের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এলাকাবাসী শাহ আলম নামের এক ব্যক্তিকে ছুরিসহ আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন।
নিহত ব্যক্তির নাম শরীফুল ইসলাম (৩৬)। তিনি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সতন্তর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং স্থানীয় একটি ফার্নিচারের দোকানের কর্মচারী ছিলেন। গ্রেপ্তার শাহ আলম সোনারগাঁ পৌরসভার অনন্তমুছা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার সকালে নিহত ব্যক্তির ভাই আনিসুর রহমান বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, রাত ১০টার দিকে আয়েশা আমজাদ ক্লিনিক-সংলগ্ন রাস্তা পার হচ্ছিলেন শরীফুল ইসলাম। এ সময় শাহ আলম সেখানে এসে শরীফুলের মুঠোফোন ছিনতাই করার চেষ্টা করেন। শরীফুল এতে বাধা দিলে শাহ আলম তাঁর গলায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এলাকাবাসী ছুরি, রক্তমাখা শার্টসহ শাহ আলমকে আটক করেন। পরে স্থানীয় লোকজন শাহ আলমকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
গতকাল রাতে সোনারগাঁ থানায় পুলিশি হেফাজতে শাহ আলম সাংবাদিকদের বলেন, শরীফুল ইসলাম তাঁর সঙ্গে বেয়াদবি করেছিলেন। এ জন্য তিনি শরীফুলের গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করেছেন।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মাহফুজুর রহমান বলেন, শাহ আলম সোনারগাঁ থানা-পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্ত। এ ঘটনায় আজ সকালে নিহত ব্যক্তির ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ওই মামলায় শাহ আলমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সকালে আদালতে নেওয়া হয়েছে।