জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে কক্ষে আটকে রেখে রাতভর নির্যাতনের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ থেকে এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগের কর্মীদের বিচার ও বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত রোববার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৩২৪ নম্বর কক্ষে ওয়ালিদ নিহাদকে আটকে রেখে মারধর করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসানের অনুসারী আবু নাঈম আবদুল্লাহ ওরফে যাযাবর নাঈমসহ কয়েকজন। রাকিবুলের অনুসারী হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি না করার কারণে এ মারধর ও নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। লোক প্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়ালিক বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে সোমবার বিকেলে মানববন্ধন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ জন্য ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন তাঁরা। এরপর আন্দোলনকারীদের বেশ কয়েকজনকে শিক্ষার্থীকে মারধরে জড়িত ছাত্রলীগের কর্মীরা হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিক্ষোভে মঙ্গলবার বিকেলে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও এ ব্যাপারে প্রশাসনের পদক্ষেপে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট নন। বৃহস্পতিবারের মধ্যে এ ঘটনায় দোষীদের বিচার শুরু না হলে ক্লাস বন্ধ ও আমরণ অনশনের মতো কর্মসূচি আসবে। এ ছাড়া বুধবার মোমবাতি প্রজ্বালন করে প্রতিবাদ জানানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘যাঁদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, এ ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে তিন সদস্যের কমিটি। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।