কর্মব্যস্ততার কারণে খেলাধুলা আর করা হয় না তাঁদের। তবে খেলার প্রতি ভালোবাসার তো আর কমতি নেই। সেই ভালোবাসার টানেই এবার আয়োজন করা হলো একদিনের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। নামকরণ করা হয় ‘ছাগল কাপ’ ফুটবল ম্যাচ। বিবাহিত বনাম অবিবাহিতরা এই ম্যাচে অংশ নেন।
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে শুক্রবার বিকেলে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের কান্দিপাড়া গ্রামের বিবাহিত ও অবিবাহিতরা দুই দলে বিভক্ত হয়ে ‘ছাগল কাপ’ ফুটবল ম্যাচ খেলেন। ৬০ মিনিটের খেলায় অবিবাহিত ফুটবল একাদশ ২-১ গোলে বিবাহিত ফুটবল একাদশকে পরাজিত করে। উৎসবমুখর পরিবেশে খেলা শেষে পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী অবিবাহিত দলকে দেওয়া হয় একটি খাসি।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, খেলার একদিন আগে দিনব্যাপী এলাকায় মাইকিং করে ‘ছাগল কাপ’ ফুটবল ম্যাচ উপভোগের জন্য দর্শকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। মশিন্দা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. রেজাউল করিম এই ফুটবল ম্যাচের উদ্যোক্তা ছিলেন। খেলার মাঠে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এলাকার ক্রীড়ামোদী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আবদুস সালাম, রতন শেখ, মিল্টন মোল্লা ও হানিফ প্রামাণিক।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রেজাউল করিম বলেন, খেলাটি উপভোগ্য করতে ও খেলোয়াড়দের বাড়তি বিনোদন দিতে পুরস্কার হিসেবে একটি খাসি রাখা হয়। খেলোয়াড়দের চাঁদার ১১ হাজার টাকায় কেনা হয় খাসিটি। খেলা শেষে খাসিটি জবাই করে রাতেই ‘খিচুড়ি ভোজ’ করা হয় স্থানীয় মশিন্দা বাজারে। খেলোয়াড় ছাড়াও এলাকার শতাধিক মানুষ এই ভোজে অংশ নেন।
ওই ফুটবল ম্যাচ নিয়ে ক্রীড়ামোদী ও স্থানীয় শিক্ষক আবদুস সালাম বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে বেশ কয়েক মাস ধরে মাঠে ফুটবল খেলা হয়নি। গ্রামের অপেশাদার খেলোয়াড়দের এই ফুটবল খেলাকে ঘিরে এলাকার মানুষের আগ্রহের কমতি ছিল না। তার ওপর বিবাহিত বনাম অবিবাহিত দলের খেলাটি বিনোদনের খোরাক হয়ে ওঠে মানুষের কাছে। বিনোদনের নতুন মাত্রা যোগ করে টেবিলের খেলোয়াড়দের পুরস্কার হিসেবে রাখা খাসিটি। উপস্থিত দর্শকের দৃষ্টি ছিল শৌখিন খেলোয়াড়দের পায়ে আর টেবিলে রাখা খাসিটির দিকে। বেশ উপভোগ্য ছিল ফুটবল ম্যাচটি।