কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে গতকাল শুক্রবার হামলার পর আজ শনিবার মন্দিরসংলগ্ন পুকুর থেকে এক ইসকন–ভক্তের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর নাম প্রান্ত চন্দ্র দাস (২৬)। আজ সকাল ছয়টার দিকে মন্দিরসংলগ্ন পুকুরে তাঁর লাশ ভেসে ওঠে বলে জানান ইসকন মন্দিরের সহসভাপতি হরিপ্রেম প্রসাদ দাস।
গতকালের হামলা-ভাঙচুরের পর উপজেলা প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা চলছে চৌমুহনী পৌরসভা এলাকায়। সকাল ছয়টা থেকে শুরু হওয়া ১৪৪ ধারা সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামছুন নাহার। প্রথম আলোকে আজ সকালে তিনি বলেন, ১৪৪ ধারা জারির পর চৌমুহনী পৌরসভা এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
প্রান্ত চন্দ্র দাসের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার। প্রান্ত চন্দ্র দাস জেলার চাটখিল উপজেলার সাহাপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি ইসকন–ভক্ত হিসেবে পূজায় এসেছিলেন।
হরিপ্রেম প্রসাদ আজ সকাল সাড়ে নয়টায় প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বিকেলের হামলা-ভাঙচুর চলার সময় ইসকন মন্দিরের অন্তত চারজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়। এর মধ্যে তিনজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রান্ত চন্দ্র দাস নিখোঁজ ছিল। আজ সকাল ছয়টার দিকে মন্দিরসংলগ্ন পুকুরে তাঁর লাশ ভেসে ওঠে।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে গতকাল জুমার নামাজ শেষে চৌমুহনী শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে কয়েক হাজার মুসল্লি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হন। তাঁরা চৌমুহনী ডিবি রোডে (ফেনী-নোয়াখালী সড়ক) এসে কিছু দোকানপাট ও ১০টি মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর চালান। এ সময় যতন সাহা (৪২) নামের একজন মারা যান। আহত হন পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।