রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার চেঙ্গী নদীতে প্রতীক্ষিত চেঙ্গী সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। সেতুটি নির্মিত হওয়ায় রাঙামাটির সঙ্গে নানিয়ারচর উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হলো। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেতুটি নির্মাণের আগে নানিয়ারচর থেকে জেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌপথ। আগে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় নানিয়ারচর থেকে জেলা সদরে যেতে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগত। বর্ষা মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে গেলে যাতায়াতে ভোগান্তি বেড়ে যেত।
এখন সড়কপথে মাত্র এক ঘণ্টায় জেলা সদরে পৌঁছানো যাবে। জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি এখন চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের সঙ্গে এ উপজেলার ব্যবসায়িক যোগাযোগ সহজ হয়ে গেল।
সেতুটি নির্মাণের ফলে জেলা সদরের সঙ্গে লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সড়কপথে যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হলো। এখন চাইলেই সড়ক নির্মাণ করে নানিয়ারচরের ওপর দিয়ে ওই দুই উপজেলার মানুষ জেলা সদরে যাতায়াত করতে পারবে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে নানিয়ারচরের চেঙ্গী নদীতে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে ২০ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন ও সওজ সেতুটির নির্মাণকাজ করে। ৫০০ মিটার দীর্ঘ ও ১০ দশমিক ২ মিটার প্রস্থের এ সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২২৭ দশমিক ৬১ কোটি টাকা। গত বছরের জুন মাসে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়।
সেতুটির উদ্বোধন উপলক্ষে আজ সকালে সেতুর উত্তর পাশে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম সংরক্ষিত আসনের সাংসদ বাসন্তি চাকমা, চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. সাইফুল আবেদীন, রাঙামাটি ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইমতাজ উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসই প্রু চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও রাঙামাটি সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহে আরেফীন প্রমুখ।