চুরি করার জন্য দেয়াল বেয়ে উঠতে গিয়ে পড়ে যান পাশের ডোবায়। সেখানেই বেহুঁশ হয়ে রাতভর পড়েছিলেন তিনি। উদ্ধার করার পর দেখা গেল তিনি জীবিত রয়েছেন। এখন তাঁর নামে কোনো মামলা দেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে পুলিশ বলছে, যেহেতু চুরি করতে পারেননি, সেহেতু মামলা হয় না।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে রাজশাহী নগরের শালবাগান এলাকায়। ওই ব্যক্তির নাম তুহিন আলী (৩৫)। তাঁর বাবার নাম সোহরাব আলী। তুহিন শালবাগান এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাশের মোড়ের একটি ভাঙারির দোকানে কাজ করেন।
পুলিশ জানায়, রোববার দিবাগত রাতের কোনো একসময় তুহিন শালবাগান এলাকার সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি কার্যালয়ের ব্যাটারি চুরির উদ্দেশ্যে দেয়াল টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করতে গিয়েই পড়ে যান। পাশের একটি ডোবায় পড়ে তিনি বেহুঁশ হয়েছিলেন। সোমবার সকালে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। উদ্ধার করার পরে দেখা যায়, তাঁর প্রাণ আছে। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তুহিন পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ওই কার্যালয়ের ব্যাটারি চুরির করার জন্য তিনি গিয়েছিলেন।
রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুম মুনীর বলেন, স্থানীয় লোকজন সবাইকে তাঁকে চেনেন। তাঁরা বলছেন, তুহিন একজন মাদকসেবী। আপাতত তাঁকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর নামে কোনো মামলা দেওয়া তবে কি না, জানতে চাইলে সোমবার বিকেলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যেহেতু কিছু চুরি করতে পারেননি, তাই মামলা হয় না। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ যদি পরে কোনো অভিযোগ দেয়, তখন দেখা যাবে।