বাগেরহাটের মোংলায় চিংড়ির ঘের থেকে একটি কুমির উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা এলাকার আকরাম হোসেনের ঘের থেকে কুমিরটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, আজ ভোরে উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের বুড়িরডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা আকরাম হোসেন তাঁর চিংড়িঘেরে একটি কুমির দেখতে পান। এরপর তিনি বন বিভাগকে বিষয়টি জানালে সকাল ১০টার দিকে কুমিরটি উদ্ধার করা হয়।
বন বিভাগ জানায়, উদ্ধার কুমিরটি লোনাপানির। কুমিরটি লম্বায় ৫ ফুট ও ওজন ১০ কেজি। এর বয়স ৮-৯ বছর। সুন্দরবনের নদ-নদীতে খাদ্যসংকট, দূষণ ও জাহাজ চলাচল বৃদ্ধির কারণে লোকালয়ে কুমির চলে আসছে বলে ধারণা করছে বন বিভাগ।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, যে মৎস্যঘের থেকে কুমিরটি উদ্ধার হয়েছে, তার পাশেই একটি ছোট খাল আছে, যা সুন্দরবনের পশুর নদের সঙ্গে সংযোগকারী গোনা নদীর শাখা। জোয়ারের সময় এ পথে কুমিরটি বুড়িরডাঙ্গার ওই ঘেরে চলে এসেছে বলে ধারণা করা হয়েছে। সাধারণত যেসব জায়গায় মাছ বেশি, সেখানে কুমিরের বিচরণ বেশি হয়। কুমিরটি উদ্ধার করা হয়েছে। এখন কুমিরটি সুন্দরবনের জোংড়ার খালে অবমুক্ত করা হবে।
বন বিভাগ সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালে করমজল কেন্দ্রের ১০০টি কুমির অবমুক্ত করা হয়। আজ সকালে উদ্ধার কুমিরটি ওই সময়ে অবমুক্ত করা কুমিরগুলোর মধ্যে একটি। এর আগে গেল ২৯ মার্চ বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় শ্রীরম্ভা গ্রামের একটি বাড়ির পুকুর থেকে এবং ১১ মার্চ একই উপজেলার বগুড়া খাল থেকে দুটি কুমির উদ্ধার হয়। তবে এই কুমিরগুলো বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অবমুক্ত করা কুমির নয়।
সুন্দরবনের বড় নদী-খাল ছেড়ে কুমিরগুলো কেন পাশের ছোট নদী-খালে চলে যাচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আজাদ কবির বলেন, খাদ্যসংকট, দূষণ, প্রাকৃতিক বা আচরণগত যেকোনো কারণেই এটা হতে পারে। এ বিষয়ে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।