করোনাকালীন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ওএমএস) চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জুর হোসেন মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি ওই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানও।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আজ সোমবার সকালে ইউনিয়নের চাতাল এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে র্যাব-১৩। পরে পীরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হলে বিকেলে চাল চুরির মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত বছরের ৮ এপ্রিল রাতে পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ি এলাকা থেকে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলায় পাচারের সময় গুঞ্জিপাড়া নামের স্থান থেকে ওএমএসের ৯০ বস্তা চালসহ একটি মাহিন্দ্র আটক করে পুলিশ। এ সময় উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নের গুপিনাথপুর গ্রামের জমশের আলীর ছেলে মাহিন্দ্রচালক ইসমাইল হোসেন, মহেশপুর গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে রিয়াদ এবং ভেন্ডাবাড়ি গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করা হয়।
আজ সোমবার সকালে ইউনিয়নের চাতাল এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে র্যাব-১৩।
অবৈধ উপায়ে সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগ এনে পীরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুর রশীদ বাদী হয়ে পরদিন ৯ এপ্রিল থানায় মামলা করেন। মামলায় সাতজন এজাহারভুক্ত এবং আরও অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করা হয়। এ ব্যাপারে করা মামলার তদন্তে ঘটনার মূল হোতা হিসেবে ভেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন মণ্ডলের নাম উঠে আসে।
এদিকে স্থানীয় সূত্র জানায়, মঞ্জুর হোসেন মণ্ডলের বাবা ওএমএস ডিলার মনোয়ার হোসেন মণ্ডল।