চাটখিলে এসআইয়ের বিরুদ্ধে শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ

নোয়াখালী জেলার মানচিত্র
নোয়াখালী জেলার মানচিত্র

নোয়াখালীর চাটখিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রমজান আলীর বিরুদ্ধে মিজানুর রহমান (৩৩) নামের এক শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফটকে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী উপজেলার হাটপুকুরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে মিজানুর রহমান উল্লেখ করেন, আজ সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হাটপুকুরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ৫০০-৬০০ ছাত্রছাত্রীকে করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা দিতে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় প্রতিষ্ঠানের ছয়-সাতজন শিক্ষকসহ তিনি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি হাসপাতালের সামনে রেখে তিনি ভেতরে ঢোকেন। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে দেখেন, মোটরসাইকেলের চাকায় হাওয়া নেই এবং এক্সেলেটরটি নষ্ট। পরে মোটরসাইকেল চালু করে এক্সেলেটর ঠিক করতে গিয়ে প্রচণ্ড শব্দ হয়। ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত চাটখিল থানার এসআই রমজান আলী তাঁকে ফটকের বাইরে গিয়ে মোটরসাইকেল ঠিক করার কথা বলেন এবং শব্দে সমস্যা হচ্ছে বলে জানান।

ওই শিক্ষকের অভিযোগ, এসআইয়ের কথামতো তিনি হাসপাতালের প্রধান ফটকে নিয়ে আবার মোটরসাইকেল চালু করার চেষ্টা করলে এসআই রমজান আলী সেখানে গিয়ে তাঁকে থাপ্পড় মারেন ও গালমন্দ করেন। এ সময় তিনি শিক্ষক পরিচয় দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে আবার চড়থাপ্পড় মারেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি ইএনও এ এস এম মোসাকে লিখিতভাবে জানান।

এ এস এম মোসা প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষকের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি বিষয়টি শুনানি করে মীমাংসা করার জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দিয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি যেহেতু উনার অধিনস্ত, তাই উনি কী করেন দেখা যাক।’

অভিযোগের বিষয়ে এসআই রমজান আলী আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘টিকা দিতে এসেছিল অনেক ছাত্রছাত্রী। হাসপাতাল থেকে খবর দেওয়ার পর আমি সেখানে গিয়েছিলাম। তখন সেখান থেকে সরিয়ে দিতে গেলে ওই শিক্ষকের সঙ্গে হালকা ধাক্কাধাক্কি ও কথা–কাটাকাটি হয়েছে। পরে বিকেলে থানায় ওসিসহ তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আমাকে না পড়ালেও শিক্ষক হিসেবে সম্মানীয়।’

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের লাইন সোজা করার সময় সম্ভবত এক শিক্ষকের সঙ্গে এসআই রমজান আলীর ধাক্কা লেগেছে। তিনি বিষয়টি দেখছেন।