চাঁদাবাজি মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

মো. শওকত রানা
মো. শওকত রানা

নাটোরের গুরুদাসপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে হতদরিদ্রদের ঘর দেওয়ার নামে চাঁদাবাজির মামলায় উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শওকত রানাকে (৪৬) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম ফারুকের আদালত জামিন শুনানি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠান।

এ মামলায় উচ্চ আদালতের আদেশে ৪২ দিনের জামিনে ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান শওকত রানা। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. নওয়াব আলী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

আইনজীবী মো. নওয়াব আলী প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৭ সালে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতাধীন হতদরিদ্রদের ঘর করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. নুরুল ইসলামের মাধ্যমে মামলার বাদী মো. জালাল উদ্দিনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন চেয়ারম্যান শওকত রানা। কিন্তু কয়েক বছর পার হলেও তাঁকে ঘর দেওয়া হয়নি। এমনকি ফেরত দেওয়া হয়নি পিএসের মাধ্যমে নেওয়া ৫০ হাজার টাকাও।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জালাল উদ্দিন গত বছরের ১২ নভেম্বর থানায় শওকত রানা ও নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় নুরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হয়ে জেল খাটলেও (এখন জামিনে) চেয়ারম্যান উচ্চ আদালত থেকে ৪২ দিনের জামিন নিয়েছিলেন।

সোমবার নাটোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চেয়ারম্যান শওকত রানার জামিন শুনানির দিন ছিল। আদালত শুনানি শেষে তাঁর জামিন বাতিল করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার বাদী জালাল উদ্দিন বলেন, তিনি খেটে খাওয়া মানুষ। একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে ঋণ করে নুরুল ইসলামের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছিলেন ঘর পাওয়ার আশায়। টাকা দেওয়ার ৪ বছর কেটে গেলেও ঘর পাননি তিনি। উপরন্তু শ্রম–ঘাম ঝরিয়ে ঋণের টাকা শোধ করেছেন। কিন্তু ঘর পাননি তিনি। ন্যায়বিচার পেতে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন।

নুরুল ইসলাম দাবি করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে একজন প্রতিপক্ষ তাঁর এক সমর্থককে দিয়ে হয়রানিমূলক ওই মামলা করেছেন। আদালতের মাধ্যমেই ন্যায়বিচারের অপেক্ষা তাঁদের।