কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে চাঁদপুর মাছঘাটে কমেছে ইলিশের সরবরাহ। আগের চেয়ে মণপ্রতি দাম কমেছে দুই থেকে চার হাজার টাকা। এখন ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের মণ ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকা, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের মণ ৩২ থেকে ৩৪ হাজার টাকা, ১ কেজি ওজনের ইলিশের মণ ৩৬ থেকে ৩৮ হাজার টাকায় কেনাবেচা চলছে।
আজ সোমবার চাঁদপুর মাছঘাট ঘুরে ও ইলিশ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেল।
মাছঘাটের আড়তদার অন্যতম ইলিশ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান কালু ভুইয়া বলেন, এখনো ইলিশের পুরোপুরি মৌসুম শুরু হয়নি। এরপরও জুলাইয়ের শেষ সময় ও আগস্টের শুরুতে চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশের ব্যাপক আমদানি ছিল। তাঁর হিসাবে চাঁদপুর মাছঘাটে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ থেকে সাত হাজার মণ ইলিশ কেনাবেচা হতো। কিন্তু চার–পাঁচ দিন ধরে প্রতিদিন গড়ে এক থেকে দেড় হাজার মণ ইলিশও আসছে না।
মাছঘাটের ব্যবসায়ী মানিক জমাদার বলেন, ‘সারা দেশে চাঁদপুরের ইলিশের ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু চাঁদপুরের পদ্মা–মেঘনায় ইলিশ নেই বললেই চলে। তা ছাড়া টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে নদীতে পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলেরা নদীতে নামতে পারছেন না। এ জন্য ইলিশ আমদানিও অনেক কমে গেছে। তবে সামনের সেপ্টেম্বরে আমরা আশাবাদী নদীতে ব্যাপক ইলিশ ধরা পড়বে। জেলেরাও আস্তে আস্তে নদীতে নামতে শুরু করেছেন।’
চাঁদপুর মাছঘাটের ইলিশ ব্যবসায়ী ও মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল খালেক মাল বলেন, চাঁদপুরের পদ্মা–মেঘনায় কোনো ইলিশ নেই। চাঁদপুর মাছঘাটে প্রতিদিন যেসব ইলিশ আসছে, এর অধিকাংশই লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও হাতিয়া এলাকার। সেখানকার জেলেরা বেশি দাম পাওয়ার আশায় ট্রলারে বা ট্রাকে করে চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশ এনে আড়তদার কাছে বিক্রি করছেন। পরে এখানকার ব্যবসায়ীরা সেগুলো ঢাকা, সিলেট, রংপুর, দিনাজপুর, কুষ্টিয়াসহ সারা দেশের খুচরা বাজারে নিয়ে বিক্রি করছে। নাম হচ্ছে চাঁদপুরের ইলিশ।
গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ও চলতি মাসের শুরুতে চাঁদপুরে ইলিশের সরবরাহ ছিল প্রচুর। ব্যবসায়ীদের হিসাবে তখন ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের মণ ছিল ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের মণ ছিল ৩৫ থেকে ৩৬ হাজার টাকা, ১ কেজি ওজনের ইলিশের মণ ছিল ৪০ থেকে ৪২ হাজার টাকা।